নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশঃ 6-মে-2025 ইং
অনলাইন সংস্করণ

ভোলায় দ্বিতীয় দিনের মতো অভ্যন্তরীণ ৫ রুটে বাস সিএনজির ধর্মঘট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

ভোলায় বাস ও সিএনজি শ্রমিকদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো জেলার অভ্যন্তরীণ রুটে বাস ও সিএনজি ধর্মঘট চলছে। এতে জেলার অভ্যান্তরীণ ৫ রুটে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ভোগান্ততিতে পড়েছেন দূর দুরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা। এতে করে দুই তিনগুন বেশি ভাড়া দিয়ে বিকল্প যানে পৌছাতে হচ্ছে গন্তব্যে। 

স্থানীয়রা জানান, রবিবার (৪ মে) বিকাল ৫ টায় ভোলা চরফ্যাসন সড়কের বাংলা বাজার জয়নগর স্কুল এলাকায় যানজট সৃষ্টি ও যাত্রী উঠানো নিয়ে বাস ও সিএনজি শ্রমিকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। অভিযোগ ওঠে বাস শ্রমিকদের অভিযোগ সিএনজি চালকরা একত্রিত হয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে বাস আটকে রাখে ও ১৬ জন বাস শ্রমিককে পিটিয়ে আহত করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে সন্ধ্যা থেকে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়। 
বাস, মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, একই সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে ৫টি স্পটে সিএনজি চালকরা বাস শ্রমিকের গায়ে হাত দিয়েছে। মোট ১৫/১৬ জন বাস শ্রমিক আহত হয়েছে। ৫টি বাস আটকে রেখেছে ও ৩ টি বাস ভাংচুর করেছে। এ কারণে তাঁরা ধর্মঘট ডেকেছে।
 
সিএনজি চালিত অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক সমিতির সভাপতি মো. জাকির হোসেন বলেন, বাস শ্রমিকরা ধর্মঘট ডাকার পরে তাদের যাত্রী টানা বন্ধ করার জন্য বাসস্টান্ডের মধ্যে ৪টি সিএনজি নিয়ে ৩টি ভাংচুর ও একটিতে অগ্নিসংযোগ করেছে। একটি সিএনজিতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। পরে ক্ষুব্ধ চালকরা লালমোহনে দুটি বাস আটকে রাখে। কিন্তু ভাংচুর করেনি।
এদিকে সিএনজি অটোরিকশা চালকরা বাস শ্রমিকদের মারধরের অভিযোগে গতকাল বোরবার সন্ধ্যায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেয়বাস শ্রমিক ইউনিয়ন। এর পরই জেলার অভ্যন্তরীণ পাঁচটি রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বাস শ্রমিকদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনে একই সময় থেকে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দেয় চালকরা। এতে চরফ্যাসন, লালমোহন ও তজুমদ্তিনের মতো দূর দূরান্তের উপজেলার যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেকে বাধ্য হয়ে ইজিবাইক, মাইক্রোবাস ও মোটর সাইকেলে বিকল্প উপায়ে যাতায়াত করলেও অতিরিক্ত ভাড়া শুনতে হচ্ছে। এদিকে দুর্ভোগ লাগবে ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা।
এদিকে সিএনজি অটোরিকশাকে মহাসড়কে অবৈধ উল্লেখ করে সেগুলো বন্ধ ও হামলা ভাংচুরের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মন্নান। তার দাবি সিএনজি অটোরিকশা চালকরা কিছুদিন পর পর পরিকল্পিতভাবে তাদের উপর হামলা চালায়। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অমান্য করছে তারা ।
অপরদিকে সড়কে চালকদের নিরাপত্তা ও ক্ষয়ক্ষতির বিচার চেয়ে চলাচল বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছেন সিএনজি অটোরকশা ও থ্রি হুইলার চালক সমিতি সভাপতি জাকির হোসেন। বাস শ্রমিকদের উপর হামলার কথা অস্বীকার করে উল্টো বাস শ্রমিকরা তাদের মারধর করার অভিযোগ করেন তিনি।

এদিকে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য রোববার বিকাল থেকেই বাস টারমিনালে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারতে মুসলিম নিধনের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে একের পর এক আইন বাস

1

আ.লীগের সময়ের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না হওয়ায় শিবির নেতার ক

2

পুতিনের এক দিনের অস্ত্রবিরতি, জেলেনস্কি বললেন ‘জীবন নিয়ে খেল

3

যে পশ্চিমা বিশ্বকে আমরা চিনতাম, তা আর নেই: ইউরোপীয় কমিশন

4

মুর্শিদাবাদে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার জন্য আরএসএসকে দায়ী করলেন

5

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অভিভাবকহীন প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়ে

6

আল-আকসায় ইহুদিদের প্রবেশ ‘নজিরবিহীনভাবে’ বাড়ছে, কিসের ইঙ্গিত

7

ইউকে বিসিসিআইয়ের বিজনেস নেটওয়ার্কিং অনুষ্ঠিত

8

হাফেজ্জি চ্যারিটিবল সোসাইটির অর্থায়নে নব মুসলিম ও অসহায় পর

9

বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ‘মানসিক সমস্যা’ দেখছেন ল্যাঙ্গেভেল

10

ইরান কখনো ইউরেনিয়ামের মজুদ নিঃশেষ করবে না

11

সাভারে শর্ট পিচ ক্রিকেট ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণ

12

শাকিবের ‘বরবাদ’ আরও ভালো হতে পারত কি

13

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘গোপন রাজনীতি’ নিষিদ্ধের দাবি জানাল ছাত্রদ

14

অভিনয় থেকে দূরে থাকা নিয়ে যা বললেন চাঁদনী

15

খুরুশকুলে মৎস্য ঘেরে যুবক খুন

16

নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক মিলন ও হাবিব আহত,হামল

17

ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ের মানববন্ধন

18

নারী সংস্কার কমিশন ও তাদের সুপারিশ বাতিল চায় বাংলাদেশ খেলাফত

19

এপ্রিল আসলেই আতংকিত হয়ে পড়েন উপকূলবাসী: অরক্ষিত বেড়িবাঁধ

20