চট্টগ্রামের চাক্তাই খাল থেকে উদ্ধার হওয়া হাত-পা বাঁধা মরদেহটিকে নিজের নিখোঁজ ছেলে মনে করে শনাক্ত করেছিলেন ভোলার উবায়দুল্লাহ। যথারীতি মরদেহ নিয়ে দাফনও করেন তিনি। কিন্তু ঘটনার মোড় ঘুরে যায় ছয় দিন পর—যখন দাফন হওয়া সেই 'মৃত' ব্যক্তি রহিম জীবিত ফিরে আসেন!
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে বৃহস্পতিবার (৮ মে)। সেদিন হঠাৎ করেই রহিমের মোবাইল নম্বর সচল পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। অনুসন্ধানে জানা যায়, তিনি পাওনাদারদের ভয়ে আত্মগোপনে ছিলেন এবং ইচ্ছাকৃতভাবেই মোবাইল বন্ধ রেখেছিলেন।
পিবিআই কর্মকর্তা জানান, আবদুর রহিম নামের এই নির্মাণশ্রমিক ১ মে সকালে একটি ফোন কল পেয়ে বাসা থেকে বের হন এবং এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তার পরিবার ধারণা করেছিল, তিনি হয়তো অনলাইন জুয়াড়িদের হাতে খুন হয়েছেন। ৩ মে চাক্তাই খালে একটি মরদেহ ভেসে ওঠে, যা চেহারার আংশিক মিল থাকায় রহিমের মরদেহ ভেবে শনাক্ত করেন তার বাবা। পরে ৪ মে ভোলায় মরদেহটি দাফন করা হয়।
তবে মোবাইল ফোন সচল হওয়ার পর রহিমকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, দেনার দায়ে পালিয়ে ছিলেন। পুলিশ জানায়, লাশ শনাক্তে পরিবারের সদস্যদের ভুল ছাড়া অন্য কোনো অসৎ উদ্দেশ্যের প্রমাণ মেলেনি। তাই রহিমকে পরিবারের হেফাজতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে, যাকে রহিম ভেবে দাফন করা হয়েছে, সেই অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয় এখনও জানা যায়নি। কোতোয়ালি থানায় লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. বাহার মিয়া জানান, রহিম ও লাশের চেহারায় মিল থাকায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। এখন অজ্ঞাত লাশের পরিচয় উদঘাটনই প্রধান চ্যালেঞ্জ।