সিলেটের গোলাপগঞ্জের বুধবারীবাজার ইউনিয়নের কালিজুরী গ্রামের মৃত আরব আলীর ছেলে প্রতিবন্ধী এমরান ফানু (৫৫) হত্যা মামলায় এজহারভুক্ত আরো ৬ আসামীকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। বুধবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালত, সিলেটে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন শামীম।
কারাগারে প্রেরণকৃত আসামীরা হলেন, বুধবারীবাজার ইউনিয়নের কালিজুরী গ্রামের মৃত হাছন আলীর ছেলে বুরহান উদ্দিন, বুরহান উদ্দিনের ছেলে আবিদ হোসেন, হুছন আলীর ছেলে রেহান উদ্দিন এবং জড়ন মিয়া।
এর আগে এই মামলার ৫নং আসামী কালিজুরী গ্রামের ফিরোজ আলীর ছেলে কয়েছ আহমদকে পুলিশ ও বিলাল উদ্দিনকে র্যাব গ্রেপ্তার করে।
উল্লেখ, গত ২২ মার্চ বিকেল ৪টার দিকে বুধবারীবাজারের পূবালী ব্যাংকের সামনে কালিজুরী গ্রামের জড়ন মিয়ার পুত্র কামরান হোসেন এর সাথে সাহিদুল ইসলামের কথা কাটাকাটি হয়। এই জের ধরে ওইদিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কালিজুরী গ্রামের ফিরোজ আলীর ছেলে কয়েছ আহমদ, একই গ্রামের মৃত হাছন আলীর ছেলে বুরহান উদ্দিন, বুরহান উদ্দিনের ছেলে আবিদ হোসেন, ফিরোজ আলীর ছেলে বিলাল উদ্দিন, হুছন আলীর ছেলে রেহান উদ্দিন এবং জড়ন মিয়া সহ বেশ কয়েকজনকে নিয়ে কামরান হোসেন দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে সাহিদুল ইসলামের বাড়িতে এসে হামলা করেন। এসময় তারা সাহিদুল ইসলামের প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ ভাই এমরান ফানুকে হামলা করে বাম চোখ নষ্ট করে দেন। এবং তার মাথায় গুরুতর জখম করেন। এ হাামলায় সাহিদুল ইসলামকেও আহত করা হয়।
এসময় গুরুতর আহত এমরান ফানুকে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়৷ সেখানে ৯দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ১এপ্রিল (মঙ্গলবার) রাত আড়াইটার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাহিদুল ইসলামের বোন সেলি বেগম ৯জনের নাম উল্লেখ ও আরো অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামী করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা (মামলা নং -২৪, ২৩-০৩-২০২৫ইংরেজি) দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন