আজিজুল ইসলাম।।
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার গান্দাইল ইউনিয়নের কাচিহারা গ্রামে ১১ বছরের এক কিশোরীকে ঘিরে প্রেম, ছিনতাই, মারধর এবং পরে ৭০ হাজার টাকায় স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা তাঁতীদলের আহ্বায়ক এনামুল হকের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী কিশোরী, উপজেলার উদগাড়ী গ্রামের শহিদুল ইসলামের নাতনী রাবেয়া খাতুন (১১)। রাবেয়ার ভাষ্য, কাচিহারা গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে সুমনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে সুমন তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। সঙ্গে ছিল ১২ হাজার ৫০০ টাকা।
রাবেয়া জানান, উদগাড়ী কলেজ মোড় থেকে সুমনের সহযোগীরা তাকে জোরপূর্বক একটি গাড়িতে তুলে নেয় এবং সুমনের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মারধর করে তার কাছে থাকা নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
ঘটনার কিছু দিন পর কাজিপুর থানায় রাবেয়ার পরিবার ৬ জনকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ দেয়। তবে তদন্ত চলাকালীন স্থানীয় বিএনপি নেতাদের মধ্যস্থতায় একটি সালিশি বৈঠক হয়। অভিযোগ রয়েছে, ওই বৈঠকে অভিযুক্তদের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা আদায় করে ঘটনাটি মীমাংসা করে দেন এনামুল হক।
ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে কাচিহারা গ্রামের আবুল মাস্টারের ছেলে মামুন ও কেরামত আলীর ছেলে আশরাফসহ অন্তত পাঁচজন স্থানীয়ভাবে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্তদের রক্ষা করতে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়েছেন উপজেলা তাঁতীদলের আহ্বায়ক এনামুল হক।
এ বিষয়ে জানতে এনামুল হকের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কাজিপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদ বলেন, “আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছিলাম এবং তদন্ত চলছিল। তবে বাদীপক্ষ পরে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করে অভিযোগ তুলে নেয়।”
এ বিষয়ে কাজিপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সেলিম রেজা বলেন, “দলীয় কোনো নেতা এমন ঘটনায় জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মন্তব্য করুন