ঝালকাঠিতে সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা শাহ আলম খান ফারসুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । রবিবার সন্ধ্যা সাতটায় নিজ বাড়ি থেকে থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। শাহ আলম খান ফারসু ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর ।
ঝালকাঠি থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, মুক্তা বেগম (৩৩) নামে এক নারীর গর্ভের সন্তান নস্ট ও গত ৫ জানুয়ারি ২০২২ বিএনপির গণতন্ত্র হত্যা দিবসের বিক্ষোভ মিছিলে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পন্ড করার অভিযোগের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
শাহ আলম খান ফারসু এই মামলার ২৬ নাম্বার আসামি। মামলা সূত্রে জানা যায়,
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে ঝালকাঠি জেলা মহিলা দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তা বেগমের করা মামলার বিবরণিতে বলা হয় ২০২২ সালের ০৫ জানুয়ারী সকাল সাড়ে ১০টায় ঝালকাঠি জেলার বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সকল নেতা কর্মীরা মিছিল নিয়ে আইনজীবী সমিতি অতিক্রমকালে সকল আসামীরা দেশীয় অস্ত্র লোহার রড, হকস্টিক, জি আই পাইপ, হাতুরি, রামদা চাইনিজ কুরাল, চাপাতি লাঠিসোঠাসহ ককটেল বোমা নিয়া আমাদের সকল নেতাকর্মীদের খুন জখম ও হত্যার উদ্দেশ্যে অর্তকিত হামলা এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় জনমনে চরম আতংক সৃষ্টি হয় এবং নেতা কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হলে আসামীরা বিএনপির নেতাকর্মীদের মারাত্মক জখম করে এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যায়। আমি তিন মাসের অন্তসত্তা থাকায় ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করলে আসামীরা আমার চুলের মুঠি ধরে পেটে লাথি ও কিল ঘুষি মারলে পাকা রাস্তার উপর পরে যাই। এরপর অন্যান্য আসামীরা একত্রিত হয়ে আমার পেটে বুকে লাথি মারে ও পদদলিত কর আসামীদের নির্যাতনে আমার গর্ভের ভ্রুন নষ্ট হইয়া যায় এবং আমি রক্তাক্ত হইয়া রাস্তায় পরে যাই। আসামীরা বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার কিছুক্ষণ পর কতক সাক্ষীরা আমাকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়। ডাক্তাররা প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যেই ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও সারমিন মৌসুমি কেকার নেতৃত্বে সকল বাহিনীসহ হাসপাতালে গিয়ে জোর পূর্বক আমাকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগ থেকে বের করে দেয়। আমার আত্মীয় স্বজন গোপনে বিভিন্ন স্থানে প্রাইভেট চেম্বারে আমার চিকিৎসা করায়। চিকিৎসকরা পরীক্ষা নিরিক্ষা করিয়া আমাকে জানায় আসামীদের নির্যাতনে আমার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে। আমি তৎকালীন স্বৈরশাসনের ফলে অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কারনে ঝালকাঠি সদর থানা বা বিজ্ঞ আদালতে মামলা করতে পারি নাই। বর্তমানে দেশে সুষ্ঠ স্বাভাবিক পরিবেশ এবং সু-শাসন ব্যবস্থা থাকায় প্রত্যক্ষদর্শী, ঘটনায় আহত এবং আত্মীয় স্বজন ও সাক্ষীদের সহায়তায় আসামীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে ন্যায় বিচার প্রাপ্তির জন্য থানায় এজাহার দায়েরে বিলম্ব হয়েছে। মামলা দায়েরের পর থেকে ফারসু পলাতক ছিল।
মন্তব্য করুন