মোঃ করিম উদ্দিন
প্রকাশঃ 19-মে-2025 ইং
অনলাইন সংস্করণ

শাবিতে নিয়োগে অনিয়ম, তবু অভিযুক্ত শিক্ষককে যোগদানের নির্দেশ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) গত বছর শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল। তদন্তে তাজবিউল ইসলাম নামে এক প্রার্থীর নিয়োগে অনিয়মের বিষয়টি প্রমাণ হয়। এ নিয়ে খবরও প্রকাশ হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। কিন্তু তাজবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা তো নেওয়া হয়নি, উল্টো তাঁকে জ্বালানি ও খনিজ প্রকৌশল (পিএমই) বিভাগে প্রভাষক হিসেবে চাকরিতে যোগদানের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ১৪ মে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।


এদিকে, তাজবিউল ইসলামের নিয়োগের বিরুদ্ধে শনিবার সকালে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ থেকে প্রভাষক তাজবিউলকে চাকরিচ্যুত করার দাবি জানানো হয়। পিএমই বিভাগের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান বলেন, তদন্ত কমিটি এই শিক্ষকের বেতন-ভাতা বন্ধ করে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে বিষয়ে কারণ দর্শানোর সুপারিশ করেছে। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাঁকে যোগদানের অনুরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যদি তাঁর নিয়োগ বাতিল করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।


বিকেলে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে পিএমই বিভাগের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনকারী আরেক শিক্ষার্থী সাদিক হাসান দীপ্ত বলেন, যতদিন পর্যন্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হচ্ছে, ততদিন আমরা বিভাগে তালা দিয়ে রাখব। আমরা চাই, দ্রুত তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।


জানা গেছে, গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে পিএমই বিভাগে প্রভাষক পদে একজন নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদনে প্রার্থীর যোগ্যতা চাওয়া হয় স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরে সর্বনিম্ন ৩.৫০ সিজিপিএ। তাজবিউল ইসলামের আবেদনের যোগ্যতা না থাকলেও তাঁকে মৌখিক পরীক্ষার কার্ড দেওয়া হয়। তাঁর আবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-শিবপুর থেকে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। স্নাতকে তাঁর সিজিপিও ৭.৩৫। কিন্তু স্নাতকের সিজিপিএ ৭.৩৫-কে সিজিপিএ ৪-এ রূপান্তর করলে তা ৩.৫০-এর চেয়ে কম হয়। এ নিয়ে গত ১১ জুন ‘আবেদনের যোগ্যতা নেই, মৌখিক পরীক্ষা নিল বোর্ড’ শিরোনামে দেশের একটি জাতীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।


খবর প্রকাশের পরও তাজবিউল ইসলামকে তৎকালীন প্রশাসন প্রভাষক পদে নিয়োগের সুপারিশ করে, যা নিয়ে গত ২২ আগস্ট আবার খবর ছাপা হয়। এ ঘটনায় সে সময় পিএমই বিভাগের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৮ অক্টোবর তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তদন্তে তাজবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হয় এবং কেন তাঁর বেতন-ভাতা বন্ধ করে চাকরিচ্যুত করা হবে না, সে বিষয়ে কারণ দর্শানোর সুপারিশ করা হয়। কিন্তু বর্তমান প্রশাসন সেই সুপারিশ তোয়াক্কা না করে ১৪ মে তাজবিউলকে চাকরিতে যোগদানের নির্দেশ দেয়।


অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও তাজবিউল ইসলামকে যোগদানের নির্দেশের বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছালিম মোহাম্মদ আবদুল কাদির জানান, তাঁকে নিয়োগের ব্যাপারে সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে উপ-উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। তবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাজেদুল করিমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।


পিএমই বিভাগের প্রধান ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্ত কমিটি অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে এবং যে সুপারিশগুলো করেছে, তা বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ আমরা দেখিনি। আমরা চাই তাজবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এই নিয়োগের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের আনা হোক শাস্তির আওতায়। আর যদি এ নিয়োগ বহাল থাকে, তাহলে আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি অনিয়মের নজির হয়ে থাকবে।’শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) গত বছর শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল। তদন্তে তাজবিউল ইসলাম নামে এক প্রার্থীর নিয়োগে অনিয়মের বিষয়টি প্রমাণ হয়। এ নিয়ে খবরও প্রকাশ হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। কিন্তু তাজবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা তো নেওয়া হয়নি, উল্টো তাঁকে জ্বালানি ও খনিজ প্রকৌশল (পিএমই) বিভাগে প্রভাষক হিসেবে চাকরিতে যোগদানের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ১৪ মে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।


এদিকে, তাজবিউল ইসলামের নিয়োগের বিরুদ্ধে শনিবার সকালে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ থেকে প্রভাষক তাজবিউলকে চাকরিচ্যুত করার দাবি জানানো হয়। পিএমই বিভাগের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান বলেন, তদন্ত কমিটি এই শিক্ষকের বেতন-ভাতা বন্ধ করে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে বিষয়ে কারণ দর্শানোর সুপারিশ করেছে। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাঁকে যোগদানের অনুরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যদি তাঁর নিয়োগ বাতিল করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।


বিকেলে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে পিএমই বিভাগের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনকারী আরেক শিক্ষার্থী সাদিক হাসান দীপ্ত বলেন, যতদিন পর্যন্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হচ্ছে, ততদিন আমরা বিভাগে তালা দিয়ে রাখব। আমরা চাই, দ্রুত তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।


জানা গেছে, গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে পিএমই বিভাগে প্রভাষক পদে একজন নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদনে প্রার্থীর যোগ্যতা চাওয়া হয় স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরে সর্বনিম্ন ৩.৫০ সিজিপিএ। তাজবিউল ইসলামের আবেদনের যোগ্যতা না থাকলেও তাঁকে মৌখিক পরীক্ষার কার্ড দেওয়া হয়। তাঁর আবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-শিবপুর থেকে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। স্নাতকে তাঁর সিজিপিও ৭.৩৫। কিন্তু স্নাতকের সিজিপিএ ৭.৩৫-কে সিজিপিএ ৪-এ রূপান্তর করলে তা ৩.৫০-এর চেয়ে কম হয়। এ নিয়ে গত ১১ জুন ‘আবেদনের যোগ্যতা নেই, মৌখিক পরীক্ষা নিল বোর্ড’ শিরোনামে দেশের একটি জাতীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।


খবর প্রকাশের পরও তাজবিউল ইসলামকে তৎকালীন প্রশাসন প্রভাষক পদে নিয়োগের সুপারিশ করে, যা নিয়ে গত ২২ আগস্ট আবার খবর ছাপা হয়। এ ঘটনায় সে সময় পিএমই বিভাগের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৮ অক্টোবর তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তদন্তে তাজবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হয় এবং কেন তাঁর বেতন-ভাতা বন্ধ করে চাকরিচ্যুত করা হবে না, সে বিষয়ে কারণ দর্শানোর সুপারিশ করা হয়। কিন্তু বর্তমান প্রশাসন সেই সুপারিশ তোয়াক্কা না করে ১৪ মে তাজবিউলকে চাকরিতে যোগদানের নির্দেশ দেয়।


অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও তাজবিউল ইসলামকে যোগদানের নির্দেশের বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছালিম মোহাম্মদ আবদুল কাদির জানান, তাঁকে নিয়োগের ব্যাপারে সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে উপ-উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। তবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাজেদুল করিমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।


পিএমই বিভাগের প্রধান ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্ত কমিটি অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে এবং যে সুপারিশগুলো করেছে, তা বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ আমরা দেখিনি। আমরা চাই তাজবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এই নিয়োগের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের আনা হোক শাস্তির আওতায়। আর যদি এ নিয়োগ বহাল থাকে, তাহলে আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি অনিয়মের নজির হয়ে থাকবে।


মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তুরস্কে বিতর্কিত সব ঘটনা শেষে রোনালদোদের কোচ হচ্ছেন মরিনিয়ো!

1

গলায় গামছা পেঁচিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ‘আত্মহত্যা’

2

৭ হাজার পিস ইয়াবাসহ রবিউলকে সাভার থেকে গ্রেফতার করে সাভার মড

3

ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ের মানববন্ধন

4

দেড় থেকে দুই কোটি মানুষকে টিসিবির পণ্য দেওয়া সম্ভব: বাণিজ্য

5

দেশে বন্ধ হচ্ছে ক্লিনফিডবিহীন স্যাটেলাইট পে-চ্যানেল প্রদর্শন

6

আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালের লিফট অপারেটর এর উপরে অতর্কিত

7

বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম মনপুরায় মানববন্ধন

8

গুগল নিয়ে বড় ঘোষণা দিলেন সুন্দর পিচাই

9

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ১৯ ও ২৫ এপ্রিল, মানতে

10

চবিতে নারী শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার ও পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদে

11

জামায়াত কর্মী জুয়েল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক তথ্যপ্রচ

12

ইউকে বিসিসিআইয়ের বিজনেস নেটওয়ার্কিং অনুষ্ঠিত

13

পছন্দের ছেলেকে বিয়ের গল্প নিয়েই প্রভার নাটক

14

জব্বারের বলীখেলার ১১৬তম আসর ২৫ এপ্রিল

15

‘ডিসেম্বরই শেষ সময়’, শনিবার যুগপৎ সঙ্গীদের সঙ্গে বসছে বিএনপি

16

হাফেজ্জি চ্যারিটিবল সোসাইটির অর্থায়নে নব মুসলিম ও অসহায় পর

17

ইলিয়াস আলী নিখোঁজের ১৩ বছর আজ

18

ইসরায়েলি হামলায় হুইল চেয়ারে বসা অবস্থায় অঙ্গার হলো শিশু আহমে

19

সারাদিন এসি চালিয়েও নামমাত্র বিদ্যুৎ বিল! সিক্রেট জানুন আপনি

20