চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলার সীমান্তবর্তী কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (কেইপিজেড)-এ পাহাড়ধসের ঘটনায় প্রাণ গেছে দুই শিশুর। আহত হয়েছেন আরও দুইজন। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে অপরিকল্পিতভাবে পাহাড় কাটার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
পাহাড় ধ্বসে নিহত শিশুরা হলেন—আব্দুর রহিমের পুত্র রোহান (১২) এবং ইমরান হোসেনের পুত্র মিসবাহ (১৫)। আহতদের মধ্যে রয়েছেন মোস্তাক মিয়ার ছেলে সিয়াম এবং আবুল কাশেমের ছেলে সিফাত।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, বুধবার রাত থেকে টানা বৃষ্টিপাতের পর বৃহস্পতিবার ভোরে হঠাৎ পাহাড় ধসে পড়ে। ভোরের এই মর্মান্তিক ঘটনায় ঘটনাস্থলেই দুইজন প্রাণ হারান। আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কেইপিজেড এলাকায় চলমান উন্নয়ন কাজের অংশ হিসেবে বেশ কিছুদিন ধরে পাহাড় কাটা হচ্ছিল। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে তারা সরকারের অনুমতি নিয়েই কাজ চালাচ্ছেন, তবে এলাকাবাসীর দাবি, নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে পাহাড় কাটার ফলে এলাকাটি ভূমিধসের ঝুঁকিতে পড়ে। এই অব্যবস্থাপনার ফলেই প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ করিম, এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, প্রশাসনের নজরদারির অভাব এবং উদ্যোক্তাদের দায়হীনতার কারণে পাহাড়ধসের মতো ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। তারা দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এই দুর্ঘটনা আবারও পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপত্তা প্রশ্নে বড় ধরনের শঙ্কা সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে শিল্প-কারখানা ঘেঁষা বসতিগুলো এখন ভূমিধসের হুমকির মুখে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেইপিজেডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, “আমরা যথাযথ সরকারি অনুমোদন নিয়েই পাহাড় কাটার কাজ করছি। তবে পাহাড়ধসের বিষয়ে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত কোনো তথ্য পাইনি। বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি।”