০৫/০৫/২০২৫ খ্রি. বেলা: ১১:৩০ ঘটিকায়।স্থানীয় কৃষকের আহবানে। চুয়াডাঙ্গা সদরের শতাধিক ভুট্টাচাষি 'নাবা' জিরো-৫৫ বীজ রোপন করে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
উপজেলার পদ্মবিলা ও তিতুদহ ইউনিয়নের সুবদিয়া,কোটবাড়ি, পিরোজখালি ও নীমতলা গ্রামের এসব কৃষক ' নাবা কেয়ার ক্রপ লিমিটেড ' কোম্পানি থেকে এসব বীজ ক্রয় করে।
কৃষকদের অভিযোগ গাছে শিষ না আসায় তারা পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।
সুবদিয়া গ্রামের কৃষক মোঃ সেলিম উদ্দিন বলেন,তিন বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছিলাম।গাছ ও ভালো হয়েছিল কিন্তু শিষ আসেনি।প্রায় ৬০ হাজার টাকা খরচ করে ফলন তো দুরের কথা পশু খাদ্য হিসাবে কিছুই পাইনি।
একই গ্রামে মোঃ আব্দের আলী বলেন,আমি দুই বিঘা জমিতে ভুট্টা লাগিয়ে ছিলাম।এখন শুধু ফাঁকা গাছ দাঁড়িয়ে আছে। আমাদের মতো কৃষকের এই ধাক্কা সামলানো কঠিন ব্যাপার।
ভুক্তভোগী কৃষকেরা লিখিত ভাবে অভিযোগ করেছেন।চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও কৃষি কর্মকর্তা সচিব বরাবর।
অভিযোগ পত্রে লেখা হয় নাবা জিরো -৫৫ ভুট্টার বীজ নিম্ন মানের হওয়ায় কৃষকেরা আর্থিক ও মানসিক ক্ষতির সম্মুখীন হন।
বীজ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের এরিয়া ম্যানেজার বলেন,চুয়াডাঙ্গা জেলা আশেপাশের আমাদের কোম্পানির বীজ বিক্রয় প্রতিনিধিরদের মাধ্যমে এক কোটি টাকার বীজ সরবরাহ করা হয়েছে।অনেক কৃষক আশানুরূপ ফলন পেয়েছেন।গত বছর হতে ভুট্টার রোগ বেশি দেখা দিয়েছে।তা যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় কারনে কিছু কৃষক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে।
এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তা উপপরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, এ বিষয় আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। সরেজমিনে তদন্ত শুরু হয়েছে।অভিযোগ প্রমাণিত হলে বীজ সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিবেদক: মোঃ ফয়েজ বিন মোসলেম।