সিলেট-৪ আসন খনিজসম্পদ পাথরের সাম্রাজ্য সীমান্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর প্রার্থী আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে জনপ্রিয় ব্যাক্তি আব্দুল হাকিম চৌধুরী। কেন্দ্র নেতা হিসেবে আরিফুল হক চৌধুরীকে সবাই সম্মান করেন ঠিকই। কিন্তু ভোটের মাঠে আব্দুল হাকিম চৌধুরীর বিকল্প নেই।
এই গুরুত্বপূর্ণ আসনে বিএনপির প্রার্থী নিয়ে চলছে জল্পনাকল্পনা। দলীয় টিকিটের জন্য কেন্দ্রে দৌড়ঝাঁপ করছেন দুই চৌধুরী। এই দুই জনের মধ্যে কে হচ্ছেন বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী না আব্দুল হাকিম চৌধুরী? এ নিয়ে রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যেও চলছে আলোচনা।
বিগত ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন চাইছিলেন আব্দুল হাকিম চৌধুরী। কিন্তু তখন সিনিয়র নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য হওয়ায় দিলদার হোসেন সেলিমকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। পরে আব্দুল হাকিম চৌধুরী দিলদার হোসেন সেলিমের জন্য নির্বাচনী মাঠে কাজ করেন। দুঃখের বিষয় হচ্ছে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ছিলো আগের দিন রাতে ভোট। সেজন্য দিলদার হোসেন সেলিম দলীয় নির্দেশ অনুযায়ী ভোট বর্জন করেন।
গুঞ্জন উঠেছে এই আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি কিছুদিন থেকে আসনের বিভিন্ন অনুষ্টানে যাতায়াত করছেন।
এই আসনে সংসদ নির্বাচন করার জন্য দলের নির্দেশ মেনে উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে দলের ক্রান্তিলগ্নে রাজ পথে সকল আন্দোলনে দলের জন্য কাজ করেছেন একাধিক বারের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী।
ফলে এই আসনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। তাই স্থানীয় নেতৃত্বের জন্য আব্দুল হাকিম চৌধুরীর কোন বিকল্প নেই এমনটাই বলছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এই আসন থেকে স্বৈরাচার ইমরান আহমদ বৈধ-অবৈধ ভাবে সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের এই প্রভাবশালী সংসদ সদস্য প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু নির্বাচনী এলাকায় উল্লেখযোগ্য তেমন কোন উন্নয়ন করতে পারেননি। যার ফলে এই আসনে আর বহিরাগত কোন সংসদ সদস্যকে দেখতে চায় না স্থানীয়রা।
ইতিমধ্যে এই আসনে সংসদ নির্বাচন নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা কাজ শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু বিএনপির মধ্যে চলছে আরিফুল হক চৌধুরী ও আব্দুল হাকিম চৌধুরীকে নিয়ে আলোচনা। তবে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ কালে তারা বলেন আব্দুল হাকিম চৌধুরী এই আসনের সন্তান। তিনি গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের একাধিক বারের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। এই আসনে সংসদ নির্বাচন করার জন্য দলের নির্দেশ অনুযায়ী মাঠে বিগত একযুগ থেকে কাজ করে আসছেন। এবার দল থেকে কাজের প্রতিদান পাওয়ার সময় এসেছে হাকিম চৌধুরীর।