নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশঃ 7-মে-2025 ইং
অনলাইন সংস্করণ

দাউদকান্দিতে বেড়েছে তালের শাঁসের কদর

দাউদকান্দিতে গরমের তীব্রতায় তালের শাঁসের কদর বেড়েছে। বাজারে প্রতিদিন শত শত তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে। পথচারীরা তৃষ্ণা মেটাতে কিনছেন শাঁস। বিক্রেতারা জানান, গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে চাহিদা। মৌসুমি এ ফল এখন গ্রামীণ অর্থনীতিতেও ভূমিকা রাখছে। অনেকেই বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন রসালো শাঁস।

দাম কিছুটা বেশি হলেও তাজা ও ফরমালিনমুক্ত তালের শাঁস শরীরের জন্য খুবই উপকারী। গরমের দিনে এতে থাকা জলীয় অংশ পানিশূন্যতা দূর করে, দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং মুখের রুচিও বাড়ায়। তালের শাঁসে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, বি ও সি-সহ নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান। 

সম্প্রতি কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার হাটবাজার ও ব্যস্ত সড়কের পাশে তালের শাঁস বিক্রি করছেন অনেকে। ক্রেতারাও আগ্রহ নিয়ে খাচ্ছেন এ ফল। দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর, ইলিয়টগঞ্জ, রায়পুর, সুন্দুলপুর, গোয়ালমারী, শ্রীরায়ের চর, ফেরিঘাট ও শহিদনগরসহ চট্টগ্রাম-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশেও তালের শাঁস বিক্রি করতে দেখা যায়।
ইলিয়টগঞ্জ বাজারে তালের শাঁস বিক্রেতা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘হোমনা, দেবিদ্বার ও মুরাদনগরের দুর্গম এলাকা থেকে তাল সংগ্রহ করি। প্রতিটি তাল ১৫ থেকে ২০ টাকায় পাইকারি কিনে এনে বাজারে খুচরা ২৫ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি করি।’

পৌর সদরের বিক্রেতা নাজমুল হোসেন বলেন, ‘পাশের উপজেলা মেঘনা ও হোমনা থেকে তাল সংগ্রহ করি। গরমের সঙ্গে তালের শাঁসের চাহিদা বেড়েছে। প্রতি বছর বৈশাখের মাঝামাঝি থেকে জ্যৈষ্ঠের শেষ পর্যন্ত তালের শাঁস বিক্রি করি। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩০০ থেকে ৪০০টি শাঁস বিক্রি হয়।’
গৌরীপুর বাজারের বিক্রেতা রহিম মোহাম্মদ বলেন, ‘একটি তালে দুটি বা তিনটি শাঁস থাকে। কেউ একটু তরল, কেউ একটু শক্ত শাঁস পছন্দ করেন। আমি প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ কাঁদি (ছড়া) তাল বিক্রি করি। গাছ থেকে কাঁদি কেটে এনে বাজারে বিক্রি করি। কষ্ট হলেও লাভ ভালো হয়।’ 

ক্রেতা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘তালের শাঁস খেতে খুবই সুস্বাদু ফল। গরম থেকে এসে খেতে ভালোই লাগে। এবারের প্রচণ্ড দাবদাহে তালের শাঁসের চাহিদা বেড়েছে।’ শ্রীরায়ের চর বাজারের মানিক দাস বলেন, ‘এই গরমে স্বস্তি দিতে তালের শাঁস সবার পছন্দের ফল। বিক্রি করে আমরাও লাভবান হচ্ছি।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘তীব্র গরমে শরীর ও পেট ঠাণ্ডা রাখে তালের শাঁস। প্রতি ১০০ গ্রাম তালের শাঁসে শূন্য দশমিক ৮ গ্রাম খাদ্যোপযোগী খনিজ পদার্থ, ২০ দশমিক ৭ গ্রাম শর্করা, শূন্য দশমিক ৮ গ্রাম আমিষ, শূন্য দশমিক ৫ গ্রাম আঁশ থাকে। এ ছাড়া শূন্য দশমিক ৫ গ্রাম খাদ্য আঁশ থাকায় এটি হজমে সহায়ক। অবাক করার মতো খাদ্যশক্তি আছে। প্রায় ৮৭ কিলোক্যালোরি ও ৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকায় এটি হাড় গঠনেও ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে ভরপুর তালের শাঁস নানা রোগের প্রতিষেধক হিসেবেও কাজ করে।’

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গাজীপুরে সাফারি পার্ক থেকে চুরি হওয়া একটি লেমুর উদ্ধার, গ্র

1

ইরান কখনো ইউরেনিয়ামের মজুদ নিঃশেষ করবে না

2

ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ের মানববন্ধন

3

ইন্সটাগ্রাম স্টোরি অটো শেয়ার হবে হোয়াটসঅ্যাপে

4

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেশনাল মাস্টার্স, আবেদনের সময় বৃদ্ধি

5

নোবিপ্রবির অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ

6

চুয়াডাঙ্গায় নিম্ন মানের ভুট্রা বীজে মাথায় হাত শতাধিক ভুট্টা

7

ফুলছড়িতে অপারেশন ডেভিল হান্টে ছাত্রলীগ নেতা জয় গ্রেপ্তার

8

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অভিভাবকহীন প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়ে

9

সিনেমার মতো ভিডিও কয়েক সেকেন্ডেই তৈরি করে দিচ্ছে এই অ্যাপ

10

রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি শিথিল, ১১টায় বৈঠক, তারপর নতুন সিদ্ধান্

11

বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ‘মানসিক সমস্যা’ দেখছেন ল্যাঙ্গেভেল

12

কফিনে শোয়ানো পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহ, ছবি প্রকাশ ভ্যাটিকানের

13

নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক মিলন ও হাবিব আহত,হামল

14

সাভারে শর্ট পিচ ক্রিকেট ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণ

15

৩৮ কেজি ওজনের ৫ ফুট লম্বা কোরাল, ধরা পড়ল বড়শিতে

16

গ্যাস সংযোগ পাবেন শিল্পমালিকরা

17

সংস্কার হলো নির্বাচন পেছানোর বাহানা: জি এম কাদের

18

স্থানীয় নির্বাচন আগে চায় ইসলামী আন্দোলন ও গণ অধিকার পরিষদ

19

এ মুহূর্তে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড দেওয়া সম্ভব

20