নিখোঁজের ১০ দিন পর অবশেষে আজ শনিবার দুপুর ১২.৩০টার সময় শ্যাওলাপাড়া গ্রামে ভিতরগাড়ি নামক পুকুরের পাড় থেকে তৃতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্র কাফি খন্দকারের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলেন, শিশুটিকে হত্যা করে তার লাশ পুকুরের পাড়ের ঝোপঝারের মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছে।
নিহত কাফি ক্ষেতলাল উপজেলার শ্যাওলাপাড়া গ্রামের সঞ্চয় খন্দকারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রতিদিনের মতো গত ১৮ এপ্রিল বিকেলে বাড়ির পাশে অন্যান্য শিশুদের সাথে খেলা করছিলেন কাফি খন্দকার। সেদিন সন্ধ্যার আগে অন্য শিশুরা বাড়ি ফিরলেও বাড়ি ফিরেনি সে। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুজি করে একমাত্র ছেলের কোন সন্ধ্যান না পেয়ে পাগলপ্রায় বাবা-মা।
শনিবার দুপুর ১২.৩০ টায় শ্যাওলাপাড়া গ্রামের একটি পুকুরের পাড়ে তার অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পান ওই গ্রামের মশিউর রহমান কলমের স্ত্রী হাবিবা। পরে পুলিশকে খবর দিলে সেখান থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।এ ঘটনায় পুলিশ ওই গ্রামের মহিদুল ইসলাম (৪৫), বাবু খন্দকার (৫৫),ফরিদ খন্দকার (৬৫) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যান।
ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ শ্রী দীপেন্দ্র সিংহ বলেন , শিশুটির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে , ময়নাতন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই গ্রামের ৩জনকে আটক করা হয়েছে।