মোঃ শরিফুল ইসলাম
প্রকাশঃ 19-মে-2025 ইং
অনলাইন সংস্করণ

কাজিপুরের চালিতাডাঙ্গা আফজাল হোসেন মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে

সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার অন্যতম বিদ্যাপীঠ চালিতাডাঙ্গা আফজাল হোসেন মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ। বিগত সরকারের আমলে  কাজিপুরের অন্যতম এই বিদ্যাপীঠে দীর্ঘদিন যাবৎ অবহেলা অযত্নে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছিল। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের সাথে সাথে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে এই বিদ্যাপীঠে। ইতিমধ্যেই মাঠে বালু ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে এবং শ্রেণীকক্ষ গুলোতে লাইট ও ফ্যান লাগানো কাজ শুরু  হয়েছে। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে অত্র কলেজের অধ্যক্ষ মহসিন রেজা বিপু বলেন, বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার কাজিপুরের অন্যতম বিদ্যাপীঠ হিসাবে খ্যাত আফজাল হোসেন মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজে হিংসার বশবর্তী হয়ে সকল উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়।শুধুমাত্র হিংসার বশবর্তী হয়ে আমাকে বিগত ১৫ বছর দায়িত্ব পালন করতে দেয়নি! যার কারণে বিগত দিনের এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ব্যবস্থা ভাঙ্গুর হয়ে পড়ে। বিগত ১৫ বছর জোর করে এই প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ ঘরনার শিক্ষক শিক্ষিকাদের পরিচালনা করে যাতে তারা লুটপাট দূর্নীতি করতে পারে!  অদক্ষ শিক্ষক শিক্ষিকাদের কারণে শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছে! যাইহোক জুলাই গনঅভ্যুত্থানে পর  আমি পুনরায় দায়িত্ব নিয়েছে,আমি আমার সর্বোচ্চ মেধা,শ্রম দিয়ে এই প্রতিষ্ঠানকে পূর্বের অবস্থায় ফিরে নিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ। 
প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বলতে গিয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের সভাপতি জনাব  বলেন, কাজিপুরের মানুষকে উচ্চ শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার লক্ষে আমার বাবা মরহুম আফজাল হোসেন (চেয়ারম্যান) এই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন।প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই সুনামের সহিত শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে  আসছিল এই প্রতিষ্ঠানটি এবং অল্প সময়ের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানের সুনাম চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে কিন্তু ২০০৯ সালের পতিত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা আসার পর প্রতিষ্ঠানের কপালে দুর্দশা নেমে আসে!শুধুমাত্র আমার বাবা মরহুম আফজাল হোসেন চেয়ারম্যান কাজীপুর উপজেলা বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা হওয়ায় এবং এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা হওয়ায় এই প্রতিষ্ঠানের উপর অমাবস্যার অন্ধকারের মত অন্ধকার  নিমজ্জিত হয়। পতিত আওয়ামী লীগের হিংসার বশবর্তী হয়ে সকল উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়! বরাদ্দানি প্রতিষ্ঠানটির নামে আমার বাবা প্রতিষ্ঠার করার  সময় যা করে রেখে গিয়েছিল তাই রয়েছে বরঞ্চ এর মধ্যে থেকে তারা আবার লুটপাট করে খেয়েছে। মানুষ মানুষের সাথে হিংসা করে কিন্তু প্রতিষ্ঠানের সাথে হিংসা করে  এদের না দেখলে বোঝা যেত না! বিগত দিনে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা শুধু তাদের নিজেদের পকেট ভারী করার জন্য কাজ করেছে কাজীপুরে মানুষের জন্য কোন কাজ করে নাই! আমরা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পেয়েছি আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানকে আবার পুনরায় পর্বের জায়গায় ফিরে নিয়ে যাব ইনশাল্লাহ। প্রতিষ্ঠানের শ্রেণীকক্ষ বৃদ্ধি করার লক্ষে আরোও কয়েকটি ভবন নির্মাণ করব, খেলার মাঠে ইতিমধ্যে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে, মাটি ভরাট শেষ হলে বাউন্ডারি ওয়ালের কাজ শুরু করবো,পুরোনো ভবনগুলোতে রং এর কাজ করবো, সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় দ্রুত সময়ের মধ্যেই  প্রতিষ্ঠানের চেহারা পরিবর্তন করব ইনশাল্লাহ। প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কাজিপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সেলিম রেজা জানতে চাইলে উনি বলেন, বিগত  স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার নেতাকর্মীরা যে কি পরিমাণ হিংসাত্মক ছিলেন এটাই তার বাস্তব প্রমাণ।  প্রতিষ্ঠানটি কাজিপুর উপজেলা বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আফজাল হোসেন চেয়ারম্যান করেছিল বিধায় সেই  প্রতিষ্ঠানের কোন উন্নয়ন করা যাবে না,শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে, ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে হবে এটাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল!  বিএনপির নামে আছে এমন  প্রতিষ্ঠানগুলোর সকল কিছু বন্ধ করে দিয়েছিল! এই হীন্য কাজে  প্রমাণিত হয় যে নদী ভাঙ্গন কবলিত  কাজিপুরের মানুষের মধ্যে যাতে  শিক্ষার আলো না পৌঁছে  সেই লক্ষ্যে তারা কাজ করছে । তারা শুধু মুখে মুখে কাজিপুরের মানুষকে ভালোবেসেছে বাস্তবিক অর্থে নয়! যে কারণে কাজিপুরে অন্যতম খ্যাতনামা আফজাল হোসেন মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজ বেহাল অবস্থা করেছে, শিক্ষার মান একেবারে নিম্নস্তরে নিয়ে গেছে।
সর্বশেষ প্রতিষ্ঠান ছাত্রলীগ যুবলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগ দ্বারা পরিচালিত হতো তারা প্রতিষ্ঠানের ভেতর মাদকদ্রব্য সেবন করত, বাধা দিতে গেলে তাদেরকে মারধর করত।।
 প্রথম যখন তারা এ এমন হীন্য কর্মকান্ড শুরু করেছিল তখন উক্ত প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তাকে তারা বিগত ১৫ বছর প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে দেয়নি কোন কাজ করতে দেয়নি! কাউকে বিন্দুমাত্র প্রতিবাদ করার সুযোগ পায়নি,যে প্রতিবাদ করত তার উপরেই অমানুষিক নির্যাতন করত  এটাই ছিল কাজিপুরের রাজনৈতিক অবস্থা।  যাই হোক আলহামদুলিল্লাহ পটপরিবর্তন হয়েছে আমরা প্রতিষ্ঠানকে পুনরায় ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য কাজ করছি ইনশাআল্লাহ আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে এই প্রতিষ্ঠানে নতুন নতুন নির্মাণ করে স্মার্ট শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ দিয়ে  শিক্ষার আধুনিক সরঞ্জাম সমন্বয়ে শিক্ষার মান বৃদ্ধি করতে এবং সিরাজগঞ্জ জেলার  অন্যতম বিদ্যাপীঠ হিসেবে আবার পুনরায় প্রতিষ্ঠা করতে। বিএনপি গণমানুষের দল, বিএনপি সব সময় জনগনের কল্যাণে কাজ করে। বিএনপির সব সময় মানুষের মৌলিক অধিকার  শিক্ষা, খাদ্য,বস্ত, বাসস্থান, চিকিৎসা নিশ্চিতের জন্য কাজ করে। আগামী দিনেও  বিএনপি ক্ষমতায় এলে সেই কার্যক্রম পরিচালনা করবে।  আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমান শিক্ষা খাতের মান বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে যে নির্দেশনা দিয়েছেন সে নির্দেশ মোতাবেক আমরা এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি। জনাব তারেক রহমানের নির্দেশ মত কাজীপুরের সব প্রতিষ্ঠানগুলোতে ধাপে ধাপে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম শুরু হবে  ইনশাল্লাহ।


মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

টাইম ট্রাভেল করাবে গুগল ম্যাপ! নতুন ফিচার নিয়ে কৌতূহল

1

অচেনা লুকে ‘হৃদায়ম’ নায়িকা

2

গ্যাস সংযোগ পাবেন শিল্পমালিকরা

3

চবিতে নারী শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার ও পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদে

4

ভোলায় দ্বিতীয় দিনের মতো অভ্যন্তরীণ ৫ রুটে বাস সিএনজির ধর্ম

5

৫ মিনিট চার্জে ৩ ঘণ্টা কথা বলা যায় এই স্মার্টফোনে

6

পুতিনের ‘গোপন’ বড় সন্তানের প্রথম ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে অনলাইনে

7

যোগ্যতার ভিত্তিতে তালিকা প্রকাশে বিলম্ব, কলকাতায় মধ্যশিক্ষা

8

ইরান কখনো ইউরেনিয়ামের মজুদ নিঃশেষ করবে না

9

একাদশের শিক্ষার্থীরা পাবে ৫০০০ টাকা ভর্তি সহায়তা, আবেদনের স

10

‘ডিসেম্বরই শেষ সময়’, শনিবার যুগপৎ সঙ্গীদের সঙ্গে বসছে বিএনপি

11

নিরাপত্তাঝুঁকিতে জম্মু-কাশ্মীরগামী পর্যটকদের ৯০ শতাংশ বুকিং

12

সবচেয়ে বেশি বই পড়েন মার্কিনরা, বাংলাদেশিদের অবস্থান কততম

13

আল-আকসায় ইহুদিদের প্রবেশ ‘নজিরবিহীনভাবে’ বাড়ছে, কিসের ইঙ্গিত

14

চামড়া খাতে এক যুগে রাজস্ব কমেছে ১৬ কোটি মার্কিন ডলার

15

সাভারে শর্ট পিচ ক্রিকেট ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণ

16

গাজায় নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব, মেয়াদ কয় বছর, বাকি শর্ত কী

17

যতক্ষণ মালিকপক্ষ হস্তক্ষেপ না করেন ততক্ষণ সংবাদমাধ্যম গুলো ম

18

রাজু ভাস্কর্যে মধ্যরাতে আমরণ অনশনে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ১

19

দুই ঘণ্টা পর শাহবাগের ‘ব্লকেড’ তুলে নিলেন শিক্ষার্থীরা

20