রাজধানীর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক "লিখন হোসেনের" ওপর ‘মব’ সৃষ্টি করে হামলা চালিয়েছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। আজ ২৮ মে, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও চিত্রে এই ঘটনা সনাক্ত করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, শাখা ছাত্রদলের সভাপতি জসীম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রুবেলের নেতৃত্বে তাকে মারধর করা হয়। পরে কয়েকজন শিক্ষক এসে ওই নেতা (লিখন ইসলাম-কে) উদ্ধার করে অধ্যক্ষের রুমে নিয়ে যায়।
ঘটনা বিশ্লেষণে জানা যায়, কলেজের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলায় লিখন হোসেন অধ্যক্ষের রুমে প্রবেশ করলে তাকে অনুসরণ করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, একপর্যায়ে তিনি অজ্ঞাতনামা কাউকে ফোন করলে ততক্ষণাৎ কলেজ শাখা ছাত্রদলের বেশ কিছু নেতাকর্মী অধ্যক্ষের রুমে এসে জড়ো হয়। এর কিছু সময় পরেই তারা দলবদ্ধ হয়ে অধ্যক্ষের রুমে প্রবেশ করেন এবং লিখন ইসলামকে মারতে মারতে অধ্যক্ষের কার্যালয় থেকে বের করে নিয়ে আসেন। সেখানে লিখন হোসেনকে আঘাত করেন ছাত্রদলের সভাপতি জসীম উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, রাকিব মোল্লাসহ অজ্ঞাত আরও কিছু নেতাকর্মী। তবে ততক্ষণাৎ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ইসলামীক স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক তরীকুল ইসলাম এবং কলেজের অধ্যক্ষ কাকলী মুখোপাধ্যয় উপস্থিত হয়ে লিখনকে তাদের থেকে ছিনিয়ে অধ্যক্ষের রুমে নিতে সক্ষম হয়।
এ বিষয়ে হামলার স্বীকার হওয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখার আহবায়ক লিখন ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন - তারা আমার উপর রাজনৈতিক প্রতিপন্নতার কারণে হামলা চালায়।প্রশাসনের কাছে আমরা আইনানুগ বিচার চাইবো এবং কলেজ প্রশাসনের কাছে হামলাকারীদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার দাবি জানাবো।
তবে প্রতিবেদন লেখার আগ পর্যন্ত কলেজ প্রশাসনের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে আলাপ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। অপরদিকে কলেজের অফিসার্স কাউন্সিলর সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ব্যাস্ততার অজুহাতে ফোন কেঁটে দেন।
মন্তব্য করুন