জুনাঈদ আল হাবিব
ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে বইছে নির্বাচনী উত্তাপ। প্রধান তিনটি ইসলামী ও জাতীয় রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা এখন মাঠে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। তৃণমূল পর্যায়ে চলছে ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ, সংগঠন গোছানো ও গণসংযোগ কার্যক্রম।
এই আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী — এই তিন দলের মনোনীত প্রার্থীরাই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন।
বিএনপির মনোনীত প্রার্থী লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু দীর্ঘদিন ধরে ঈশ্বরগঞ্জে দলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন সক্রিয় ও তৃণমূলভিত্তিক নেতা। দলের কঠিন সময়ে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে কাজ করায় তিনি জনপ্রিয় মুখ হিসেবে পরিচিত।
অন্যদিকে,
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা মনজুরুল হক হাসান একজন শিক্ষাবিদ, সমাজসেবক ও কারা নির্যাতিত জননেতা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঈশ্বরগঞ্জে সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন, ফলে এলাকায় তার একটি শক্ত অবস্থান তৈরি হয়েছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে প্রার্থী মুফতি মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ একজন তরুণ, আদর্শনিষ্ঠ ও ত্যাগী ইসলামী নেতা হিসেবে এলাকায় সুনাম অর্জন করেছেন। সমাজে ন্যায়ভিত্তিক পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে তিনি তৃণমূলের ইসলামী মনোভাবাপন্ন ভোটারদের মাঝে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই তিন প্রার্থীর উপস্থিতি ঈশ্বরগঞ্জের নির্বাচনী মাঠে ত্রিমুখী লড়াইয়ের জন্ম দিয়েছে।
তাদের ভাষায়, “বিএনপি’র দীর্ঘ সাংগঠনিক ভিত্তি, ইসলামী আন্দোলনের আদর্শনিষ্ঠ তরুণ নেতৃত্ব এবং জামায়াতের তৃণমূল শক্তি — এই তিন উপাদানই আসনটির নির্বাচনী চিত্রকে পাল্টে দিতে পারে।”
স্থানীয় ভোটাররা বলছেন,
“আমরা এমন একজন প্রার্থী চাই, যিনি পরিচ্ছন্ন, শিক্ষিত এবং সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করবেন।”
নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থীদের গণসংযোগ, পথসভা ও জনসম্পৃক্ততা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ঈশ্বরগঞ্জ আসনের এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু স্থানীয় পর্যায়েই নয়, বরং ময়মনসিংহ জেলার সামগ্রিক নির্বাচনী পরিস্থিতিকেও প্রভাবিত করতে পারে।
ঈশ্বরগঞ্জের ভোটারদের কাছে এখন প্রশ্ন— কে হতে যাচ্ছেন তাদের পরবর্তী জনপ্রতিনিধি? উত্তর মিলবে আগামী নির্বাচনের ব্যালটে।