পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ফরিদপুর সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে অবস্থিত নাজমা আক্তারের বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
অভিযোগ উঠেছে, জেলা যুবদলের প্রভাবশালী এক নেতার ছত্রছায়ায় আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত খন্দকার সাদিক রেজা আরিফ, খন্দকার সাব্বির রেজা তারেক ও রাব্বি খন্দকারের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়। হামলার সময় সিসিটিভি ফুটেজেও তাদের উপস্থিতি দেখা যায়।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ ও ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাচ্চর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের অধিবাসী রেজা খন্দকারের সঙ্গে নাজমা আক্তারের পূর্ব থেকেই জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে বিগত দিনে একাধিকবার হামলার ঘটনা ঘটে। যা নিয়ে আদালত ও থানায় মামলা রয়েছে। বিরোধের জের ধরে গত শুক্রবার রাত সোয়া নয়টার দিকে নাজমা আক্তারের অবর্তমানে তার বাড়িতে আরিফ খন্দকার, তারেক খন্দকার ও রাব্বি খন্দকারের নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের সশস্ত্র একটি দল হামলা চালায়। এ সময় তারা বসত বাড়ির দায়িত্বে থাকা কেয়ারটেকার সাকিব শেখকে মারপিট করে।
পরে হামলাকারীরা বসতবাড়িতে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। হামলাকারীরা এসময় ঘরে থাকা নগদ দেড় লাখ টাকা, টেলিভিশনসহ মূল্যবান আসবাবপত্র নিয়ে যায়। হামলার সময় বাড়ির চারপাশে লাগানো ১১টি সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে।
নাজমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ভাঙচুর প্রতিপক্ষের লোকজন ভাঙচুর নানাভাবে হেনস্তা করে আসছেন। তাদের নিজ সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করার পাঁয়তারা চালাচ্ছেন। তাদের এসব কাজে বাঁধা দিলে দেওয়া হচ্ছে প্রাণনাশের হুমকি। বিভিন্ন সময় অব্যাহত হুমকির কারণে তিনি ও তার সন্তানেরা গ্রামের বাড়িতে যেতে পারছেন না।
স্থানীয়রা জানান, ভাঙচুর ও লুটপাটের সঙ্গে যারা জড়িত তারা সকলেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর তারা এখন জেলা যুবদলের প্রভাবশালী এক নেতার ছত্রছায়ায় এলাকায় নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের হাত থেকে স্থানীয় অনেক গ্রামবাসী এমনকি মসজিদের ইমামও রেহাই পায়নি।
আরিফ খন্দকার, তারেক খন্দকার ও রাব্বি খন্দকারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
কোতয়ালী থানার এসআই জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হবে।
মন্তব্য করুন