পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কালিগঞ্জে কাজী আব্দুস সালাম নামে (৩৫) নামে এক ব্যাক্তিকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারত্মক জখম করে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। মারাত্মক জখম সালাম বর্তমানে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি কালিগঞ্জ থানায় আসামীদের বিরুদ্ধে এজাহার দাখিল করেছেন।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভুগি আব্দুস সালাম জানান, গত ১০/৬/২৫ তারিখে বিকালে কালিগঞ্জের শ্রীকলা গ্রামের মৃত মান্দার সরদারের ছেলে বাকী সরদার তার ছেলে রাহাদ সরদার, মহতপুর গ্রামের নুরালী মোল্যার ছেলে আব্দুর রহিম, তার ছেলে আবদুল হাকিম, আমিয়ান গ্রামের আসাদ গাজীর ছেলে মুনাজাদ, নরিম সরদার. মৃত ফরমান সরদারের ছেলে ইনতাজ সরদার, বাকী সরদারের স্ত্রী রওশনারা, চাম্পাফুল বাশদহা গ্রামের কুরবান সরদার, নুরালী মোল্লার মেয়ে মঞ্জুয়ারা খাতুন, নুরালী মোল্লার মেয়ে মনিরা খাতুন, মহতপুর গ্রামের নুরালী মোল্লা, মৃত ফরমান সরদারের মেয়ে সখিনা খাতুন, শ্রীকলা গ্রামের বাকী সরদারেরর ছেলে রায়হান সরদার সহ অজ্ঞত আরো ১০/১৫ জন আসামীরা একত্রিত হয়ে আমার বসত বাড়িতে হামলা করে। তার আমার ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে আমাকে বেঁধে ফেলে আমাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারত্মক জখম করে মৃত ভেবে ফেলে রাখে। তারা আমার ঘরের আলমারি ভেঙ্গে নগদ এক লক্ষ টাকা, আমার মায়ের এক ভরি ওজনের সোনার চেইন ,১০ আনা ওজনের কানের দুল ও আমার দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এরপর তারা আমাকে খুন করার উদ্দেশ্য পাশে সুপারি বাগানে নিয়ে গেলে স্থানীয় রেহানা খাতুনের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসি এগিয়ে আসলে উক্ত আসামীরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় এলাকাবাসি আমাকে উদ্ধার করে কালিগঞ্জ থানায় নিয়ে গেলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে আমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রক্তাক্ত জখম আবস্থায় আমাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। অদ্যবদি আমি সেখানে চিকিৎাধীন আছি। উক্ত আসামীদের মারপিটের কারনে আমার ডান পাশের চোখ নষ্ট হওয়ার পথেএবং পাজড় ও পায়ের হাড় ভেঙ্গে গেছে। ভুক্তভুগি আব্দুস সালাম জানান, উক্ত আসামীরা খুবই হিংস্রর প্রকৃতির তারা যে কোন সময় আমাকে আবার খুন করতে পারে। সেজন্য আমি পুলিশ সুপারসহ সরকারের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মন্তব্য করুন