যশোরের কেশবপুরে বিএনপির সভাপতি ও এক ইউপি মেম্বর ও সচিবের বিরুদ্ধে সরকারি চাল বিতরণের নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর অবশেষে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্রশাসনের উপস্থিতিতে ভিজিডি কাটধারিদের টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট পর রাজনৈতিক কারণে কেশবপুর উপজেলার ১১নং হাসানপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১৬২জন ভিজিডি কার্ডধারীর ৫মাসের চাল বিতরণ বকেয়া থেকে যায়।
বকেয়া চাল বিতরণের জন্য কার্ড ধারীদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ওই ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের বুড়িহাটি গ্রামের মেম্বর ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হেকমত আলী এবং পরিষদের সচিব মিনারুলের জোকসাজসে প্রত্যেক কার্ডধারীর কাছ থেকে ২শত টাকা করে উৎকোচ আদায় করেন। সোমবার সকালে বকেয়া চাল বিতরণকালে ইউপি সদস্য হেকমত আলী ও সচিব মিনারুলের সাথে ভুক্তভোগীদের উৎকোচের টাকা নিয়ে বাকবিতন্ডা হতে থাকলে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। সংবাদ পেয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করলে নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে যান। এ সময় তিনি চাল বিতরণের নামে টাকা আত্মসাতের ঘটনার সত্যতা পান এবং তিনি উপস্থিত থেকে অভিযুক্ত সচিব ও বিএনপির নেতা ইউপি সদস্যের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরত প্রদান করেন।
চাল বিতরণের নামে টাকা উৎকোচের বিষয় ইউপি সচিব মিনারুল ও ইউপি সদস্য বিএনপির নেতা হেকমত আলীর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন টাকা নিয়েছিলাম এসিল্যান্ডের উপস্থিতিতে সমস্ত টাকা ভুক্তভোগীদেরকে ফেরত দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরিফ নেওয়াজের কাছে অভিযুক্তদের বিষয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, তাদের বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টালি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইউপি সদস্য ও বিএনপির ১ নং ওয়ার্ডের সভাপতি হেকমত আলী বিভিন্ন সময় অবৈধ ভাবে টাকা নেয়, সে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি কারী তার ভয়ে কথা বলে*না ও অন্য অন্য মেম্বারার জড়িত আছে, ইউপি সচিব মিনারুল ইসলাম জনগণের সেবার নামে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে ।
মন্তব্য করুন