গাজী মাহমুদ পারভেজ।।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাউশিয়া সজিব পাম্প সংলগ্ন এলাকা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার হওয়া তরুণী নুসরাত জাহান সাদিয়া (২১)–এর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়লেও বিষয়টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বলে জানিয়েছে গজারিয়া থানা পুলিশ।
ঘটনার পরদিন স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে অজ্ঞান পার্টির ছিনতাই কিংবা পরিকল্পিত ফেলে দেওয়ার সন্দেহ ছড়ালেও, তদন্তে এমন কোনো অপরাধের প্রমাণ মেলেনি বলে দাবি করেছেন গজারিয়া থানার (ওসি তদন্ত) মোঃ শহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “প্রথমে আমরা ধারণা করেছিলাম মেয়েটি কোনো অজ্ঞান পার্টির শিকার হয়েছে। কিন্তু পরে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, নুসরাত জাহান মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় অসতর্কতাবশত পড়ে গিয়ে অচেতন হয়ে যায়। ঘটনাস্থলের পাশের স্থানীয় এক ব্যক্তি তাদের সহযোগিতা করেন এবং মেয়েটিকে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।”
তিনি আরও জানান, “পরিবারের পক্ষ থেকে মেয়েটিকে পরদিন সকালে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। যেহেতু উভয় পরিবার একে অপরকে পূর্বপরিচিত এবং ঘটনাটি নিছক দুর্ঘটনা, তাই তারা আমাদের কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, কোনো অপরাধমূলক বিষয়ও পাইনি।”
উল্লেখ্য, গত (১ আগস্ট) শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে আটটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাউশিয়া সজিব পাম্প সংলগ্ন এলাকা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার হওয়া তরুণী নুসরাত জাহান সাদিয়া।
উদ্ধারকৃত তরুণী ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ধনিয়া গ্রামের ফিরোজ হোসেনের মেয়ে। স্থানীয়রা তাকে অচেতন অবস্থায় সড়কের পাশে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান, যা মুহূর্তেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার প্রকৃত তথ্য সামনে আসার পর অনেকেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও, মহাসড়কে নিরাপত্তা ও সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, “ঘটনাটি দুর্ঘটনা হলেও মহাসড়কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা জরুরি। কারণ এ ধরনের ঘটনায় বিভ্রান্তি ছড়ানো খুব সহজ হয়।”
এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলার তথ্য নেই।