মোঃ আবদুল মোতালেব
বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন বাস্তবায়ন, বৈষম্যমূলক বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ এবং সারা বছর নিবন্ধন আবেদন গ্রহণের ব্যবস্থা চালু করার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ছোট ছোট দল নিয়ে গঠিত রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন সংশোধন আন্দোলন।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন অফিসের বাইরের সড়কের সামনে প্রায় অর্ধশতাধিক লোক এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
নির্বাচন কমিশন ঘেরাও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, বর্তমান বৈষম্যমূলক নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো দলীয় বা নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। তারা অবিলম্বে কমিশনের পদত্যাগ ও সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী নতুন নিবন্ধন আইন প্রণয়নের দাবি জানান।
এ সময় রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন সংশোধন আন্দোলনের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পাটি (জেডিপি)-এর চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন বিশেষ একটি দল ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের ন্যায্য অধিকার দিচ্ছে না। কমিশনের সঙ্গে দেখা করারও সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। জুলাই বিপ্লবের পর মানুষ ভেবেছিল সংস্কার আসবে, রাষ্ট্রের পরিবর্তন হবে; কিন্তু বর্তমান কমিশন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার প্রণীত কালো আইনের অধীনেই দল নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এতে সংবিধানবিরোধী ধারা সংযোজন করে সাধারণ মানুষের রাজনীতি করার অধিকার হরণ করা হয়েছে।’
মৌলিক বাংলার সাধারণ সম্পাদক ছাদেক আহম্মেদ সজীব অভিযোগ করে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও এনএসআই-দুই প্রতিষ্ঠানই মাঠপর্যায়ে তদন্ত চালাচ্ছে। এই দুই তদন্ত একে অপরের বিপরীতমুখী। প্রশ্ন হচ্ছে, কোন রিপোর্টের ভিত্তিতে ১০টি দলকে অধিকতর তদন্তে নেওয়া হয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার, নাকি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের?’
গণঅধিকার পার্টি (পিআরপি) ও জাতীয় জোটের চেয়ারম্যান সরদার মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, জন্মসূত্রে এই দেশের নাগরিক। রাজনীতি করা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। আমাদের সেই হরণকৃত রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে এবং দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে। অন্যথায় নির্বাচন কমিশন অফিস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং ঢাকা অচল করে দেওয়া হবে।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন- সমতা পার্টির সভাপতি হানিফ বাংলাদেশি, নতুন বাংলা পার্টির চেয়ারম্যান আকবর হোসেন ফাইটন, বাংলাদেশ শ্রমজীবী পার্টি (বিএসপি)-র সভাপতি লায়ন মো. আব্দুল কাদের জিলানী, বাংলাদেশ বেকার সমাজের সভাপতি মোহাম্মদ হাসান, জনতা ঐক্যের সভাপতি মো. আরিফুর রহমান, বাংলাদেশ পিপলস পাটির চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান খান, বাংলাদেশ নিরাপদ পার্টির মহাসচিব এস এম সাজেদুল ইসলাম, বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বাদল)-এর চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা কামাল বাদল, বাংলাদেশ নতুন ধারা জনতা পার্টির আহ্বায়ক মো. আব্দুল আহাদ নুর, বাংলাদেশ শান্তির দলের মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. আল মামুন।
মন্তব্য করুন