বরিশালের বানারীপাড়া থানার একটি ডাকাতি মামলার মূল হোতাসহ তিন আসামিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত ৩ জুন অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন—
মো. সোহাগ বেপারি (৩৫), পিতা বাদশা বেপারি, গ্রাম সোহাগদল, নেছারাবাদ থানা
নাসির মাঝি (৪০), পিতা মজনু মাঝি, উত্তর-পশ্চিম সোহাগদল, নেছারাবাদ
মো. মীর লিটন ওরফে আলামিন (৫০), পিতা মৃত জাকারিয়া হোসেন, গ্রাম কচুয়া, বানারীপাড়া
উল্লেখ্য, গত ২১ এপ্রিল গভীর রাতে বানারীপাড়া উপজেলার বাইশারী গ্রামে মিজানুর রহমান বাবুল দফাদারের বাড়িতে এক দুঃসাহসিক ডাকাতি সংঘটিত হয়। পরদিন বাবুল দফাদার বাদী হয়ে বানারীপাড়া থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি গরদ্ধার গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম মানিক, মৃত আ. রব এর ছেলে কালু এবং আরও ৫/৭ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করেন।
ঘটনার পরপরই পুলিশ শহিদুল ইসলাম মানিককে বন্দর বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে এবং পরদিন বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। তবে তাকে গ্রেফতারের পর এলাকায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ২৪ এপ্রিল এলাকাবাসী ও স্বজনরা মানিককে নির্দোষ দাবি করে মানববন্ধন করে তার মুক্তির দাবি জানান।
মামলার তদন্তে পুলিশ দেশব্যাপী ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে চার ধাপে মোট আটজন ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করে। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাইশারী ও সলিয়াবাকপুর এলাকায় ডাকাতির ঘটনায় নিজেদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই চন্দন কুমার রায় জানান, “মামলা দায়েরের পর থেকেই বানারীপাড়া থানা পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত ও গ্রেফতারে কাজ করেছে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আমরা সফলভাবে অভিযুক্তদের ধরতে পেরেছি।”
এ বিষয়ে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোস্তফা বলেন, “আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
এদিকে একের পর এক ডাকাত সদস্য গ্রেফতারের ঘটনায় এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গ বানারীপাড়া থানা পুলিশের এই সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন