এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, ঈদুল আজহা মুসলিম উম্মাহর অন্যতম পবিত্র ধর্মীয় উৎসব। এই দিনে কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি আত্মত্যাগ, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানবিকতার শিক্ষা আর ভালোবাসার মহিমান্বিত বার্তা নিয়েই ফিরে এসেছে ঈদুল আজহা।
“কোরবানির মহান আদর্শ ও আত্মত্যাগের শিক্ষা নিয়ে ঈদুল আযহা আমাদের দ্বারে সমাগত। এই ঈদ শুধু আনন্দ ও উৎসবের দিন নয়, বরং তা ত্যাগ, মানবতা ও আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে নিজেকে উৎসর্গ করার শিক্ষা দেয়।”
তিনি আরও বলেন, ইব্রাহিম (আ.)-এর মহান ত্যাগের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে চলি। এই ঈদ আমাদের জীবনেও হোক আত্মশুদ্ধির উপলক্ষ।
“ঈদুল আযহা মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধনকে দৃঢ় করে। এই দিনে ধনী-গরীব সকল মানুষ এক কাতারে দাঁড়ায় এবং পারস্পরিক সহানুভূতি ও সহমর্মিতার মাধ্যমে গড়ে ওঠে এক মানবিক সমাজ।
হাদিসের আলোকে কোরবানির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কুরবানীর দিন মানুষ যে কাজ করে তার মধ্যে আল্লাহ্ তা’আলার নিকট সবচাইতে পছন্দনীয় হচ্ছে রক্ত প্রবাহিত করা (কুরবানী করা)। কিয়ামতের দিন তা নিজের শিং, পশম ও ক্ষুরসহ হাযির হবে। তার (কুরবানীর পশুর) রক্ত যমিনে পড়ার আগেই আল্লাহ্ তা‘আলার নিকটে এক বিশেষ মর্যাদায় পৌঁছে যায়। অতএব তোমরা আনন্দিত মনে কুরবানী কর।
(তিরমিজি, হাদিস: ১৪৯৩)
তিনি আরো বলেন, কোরবানী নিয়ে কোনো প্রকার বিলাসিতা নয়, কোরবানি দেওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য হলো আল্লাহকে রাজি খুশি করার জন্য দিতে হবে। কোরবানির প্রকৃত মর্মার্থ হলো আত্মত্যাগ। ব্যক্তি ও সমাজের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়াই হলো এই উৎসবের মূল শিক্ষা। আমরা যেন সেই শিক্ষা অন্তরে ধারণ করি ও বাস্তবে প্রতিফলিত করি—এটাই হোক আমাদের ঈদের অঙ্গীকার।”
তিনি সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আসুন, ঈদের আনন্দ শুধু নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে গরীব, দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নিই। তাহলেই ঈদের আনন্দ হবে পরিপূর্ণ।
কোরবানির মাধ্যমে শুধু পশু নয়, হিংসা, অহংকার ও আত্মকেন্দ্রিকতা থেকেও মুক্ত হই। তবেই ঈদের প্রকৃত শিক্ষা সফল হবে।
শেষে তিনি দেশের সর্বস্তরের মানুষের শান্তি অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন, এবং সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর সকল শ্রেণী পেশার মানুষের জন্য নিরাপদ ও আনন্দময় পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন, এবং তার জন্য দোয়া চেয়েছেন।
মন্তব্য করুন