সাইফুজ্জামান।।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান জাতীয় সমাবেশে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ)-এর একটি প্রতিনিধি দল সোমবার (২১ জুলাই) রাতে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এনডিএফ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম এবং সংগঠনের মহাসচিব ও শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া‑সখিপুর) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল।
সাক্ষাৎকালে দলের পক্ষ থেকে গঠিত একটি মেডিকেল টিম জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সাম্প্রতিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। তার রক্তচাপ, হৃদস্পন্দন, শ্বাস-প্রশ্বাস, ডায়াবেটিস ও নিউরো স্ট্যাটাসসহ সামগ্রিক শারীরিক পরিস্থিতি পরীক্ষা করা হয় এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরামর্শ প্রদান করা হয়।
সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন দেশের খ্যাতনামা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ডা. জেহাদ খান, অভিজ্ঞ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এস. এম. খালিদুজ্জামান এবং ডায়াবেটিস, নিউরোমেডিসিনসহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন চিকিৎসকবৃন্দ।
ডা. মাহমুদ হোসেন বলেন,
"আমীরে জামায়াত একজন প্রবীণ চিকিৎসক ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। তার স্বাস্থ্যগত অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নিতে এসে আমরা তার অসুস্থতার বিষয়টি আন্তরিকভাবে পর্যবেক্ষণ করি। আমাদের চিকিৎসক টিম তাকে প্রয়োজনীয় মেডিকেল গাইডলাইন দিয়েছে। আমরা তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।"
তিনি আরও বলেন,
"রাজনীতির পাশাপাশি মানবিকতা ও পেশাগত সৌজন্য বজায় রাখাই আমাদের দায়িত্ব। এধরনের সাক্ষাৎ দেশের রাজনীতিতে সহনশীলতা ও সুস্থ সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটায়।"
প্রসঙ্গত, গতসপ্তাহে অনুষ্ঠিত জাতীয় সমাবেশ চলাকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান। তার শরীরিক দুর্বলতা, উচ্চ রক্তচাপ এবং সামান্য শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বর্তমানে তিনি বিশ্রামে আছেন। চিকিৎসকরা তাকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, নির্দিষ্ট খাদ্যাভ্যাস ও মেডিকেল ফলোআপের পরামর্শ দিয়েছেন।
সাক্ষাৎকালে জামায়াত নেতৃবৃন্দ এনডিএফ নেতৃবৃন্দ ও চিকিৎসক দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বলেন, "এটি একটি মানবিক দৃষ্টান্ত যা দেশবাসীর কাছে রাজনৈতিক সৌজন্যের একটি অনন্য বার্তা পৌঁছে দেয়।"
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, চিকিৎসকদের এ ধরনের উদ্যোগ দেশে সৌহার্দ্যপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। নেতৃবৃন্দের এমন মানবিক সম্পর্ক রাজনৈতিক বিভাজনের ঊর্ধ্বে গিয়ে দেশের বৃহত্তর কল্যাণে সহায়ক হতে পারে।
মন্তব্য করুন