মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে ২ দিনের ব্যবধানে নারী পুরুষ শিশুসহ ৩০ জনকে বাংলাদেশে অভ্যন্তরে ঠেলে দিল (পুশইন) ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এই নিয়ে গত ২ দিনের ব্যাবধানে ৪৯ জনকে পুশইন করল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
মঙ্গলবার ভোররাতে মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস সীমান্ত পিলার ১০১ কাগমারী মাঠ দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেয় বিএসএফ।
তারা সীমান্ত পার হয়ে আসলে আনন্দবাস বিওপি ক্যাম্পের টহলরত বিজিবি সদস্যরা আনন্দবাস ফাসিঁতলা মাঠ থেকে তাদের আটক করে। পরে তাদের মুজিবনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়।আটককৃতদের মধ্যে বিভিন্ন বয়সী ১২ জন শিশু ৯ জন নারী ও ৯ জন পুরুষ।
আটকৃত হল, কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বর থানার টগরপাড়া গ্রামের আজহারুল ইসলাম এর ছেলে বজলে (৪০)বজলের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম(৩৫)মেয়ে মর্জিনা খাতুন( ৯) (৯),মিম(৪) ছেলে রাসেল(২১) এবং ববিতা (১৫) নাতি ওবাইদুল (৮)।
কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি থানার কাশিয়াবাড়ি গ্রামের মৃত আ:আজিজ এর ছেলে শাহানুর (২৯) স্ত্রী কল্পনা (২৭) এবং ছেলে নুর ইসলাম (৯)।কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী থানার বালাসিপাড়া গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে ইচা আলী (৪৪)স্ত্রী আকলিমা বেগম(৪০)ছেলে আরিফ (১৯) ইব্রাহীম (১৫) ইসমাঈল (৮)এবং ছেলে আরিফের স্ত্রী সুমনা (১৫)।
কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানার নগরাজপুর গ্রামের আকবর আলীর ছেলে আলিমুদ্দিন (৫৫)
স্ত্রী আমিনা (৩৫) ছেলে আতিকুল (২৫) আতিকুলের স্ত্রী ইয়াসমিন (২০)ছেলে ইয়াসিন (৫) ইয়ানুর (২) এবং মেয়ে ফাতিমা (১)।
কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানার ঘোগারকুঠি গ্রামের বাটালের ছেলে হুজুর আলী (৪০)স্ত্রী মনিরা (৩৫)ছেলে মনির হোসেন (৭), মেয়ে আদুরি (৩) হালিমা (১৮)নাতি হামিম (২)।
গত অভ্যন্তরে ঠেলে দেওয়া মানুষদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, তারা বাংলাদেশের নাগরিক দীর্ঘ ১২/১৪ বছর আগে দালালের মাধ্যমে কাশিয়াবাড়ি সীমান্ত দিয়ে কাজের সন্ধানে তারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে। ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে পরিবার নিয়ে বসবাস করত এবং সেখানে বিভিন্ন ইট ভাটায় কাজ করত।
গত ছয়-সাত দিন আগে তাদেরকে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের পুলিশ বিভিন্ন এলাকার ইটভাটা থেকে আটক করে গাড়ি করে নিয়ে এসে মঙ্গলবার ভোরবেলায় সীমান্ত দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে মুজিবনগর থানার তদন্ত অফিসার জাকির হোসেন জানান, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিএফএস তাদেরকে সীমান্তের কাঁটাতার পার করে দেয় পরে বিজিবি তাদের আটক করে মুজিবনগর থানায় হস্তান্তর করে হয়ে তারা এখন থানা হেফাজতে আছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।।
মন্তব্য করুন