বিশ্বজিৎ সরকার
বাংলাদেশের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। সেই দিনটির চেতনায় আজও প্রেরণা খুঁজে ফেরে গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষ। সেই আবেগ ও শ্রদ্ধায় ভরপুর পরিবেশে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে শুক্রবার সকাল ১১টায় উপজেলা বিএনপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় এক বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা।
র্যালিটির নেতৃত্ব দেন মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী, সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সভাপতি, মাটি ও মানুষের নেতা, কৃষকের বন্ধু, মানবতার ফেরিওয়ালা, মুন্সীগঞ্জের দানবীর আলহাজ্ব শেখ মো. আব্দুল্লাহ।
র্যালিটি সিরাজদিখান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে শুরু হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজদিয়া অভয় পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে এসে এক আবেগঘন আলোচনা সভায় মিলিত হয়। পুরো এলাকা তখন স্লোগানে মুখর জিয়ার সৈনিক ঐক্যবদ্ধ, গণতন্ত্র হবে পুনরুদ্ধার বেগম জিয়ার মুক্তি চাই এই আহ্বানে কাঁপছিল সিরাজদিখানের আকাশ-বাতাস।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ বলেন ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। সৈনিক ও জনতা ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মাধ্যমে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার শপথ নিয়েছিল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ আজও আমাদের পথপ্রদর্শক। আমরা তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো।
বক্তারা বলেন, ৭ নভেম্বর শুধু একটি তারিখ নয়, এটি একটি চেতনা, একটি আন্দোলনের প্রতীক যে আন্দোলন আজও বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের রক্তে প্রবাহিত। শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম হায়দার আলী, সহসভাপতি মোঃ মোতাহার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আতাউর রহমান হাওলাদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এম সিদ্দিক মোল্লা, চিত্রকোট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ খোরশেদ আলম, শেখরনগর ইউনিয়নের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, জৈনসার ইউনিয়নের সভাপতি শেখ নাজিম উদ্দিন, রশুনিয়া ইউনিয়নের সভাপতি খিজির চৌধুরী, বয়রাগাদী ইউনিয়নের সভাপতি হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইয়াসিন সুমন, সদস্য সচিব শাহাদাৎ সিকদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোঃ আজিজুল ইসলাম, সদস্য শেখ মোঃ রাসেল, কৃষক দলের সভাপতি মোঃ হাফেজ আলমগীর, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি হিমেল মল্লিক, বিক্রমপুর কে.বি. ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভানেত্রী অনন্যা রহমান অর্পা, যুবদল নেতা আমান মোল্লা, বিপ্লব মাদবর, সিফতুল ইসলাম জনি, মোঃ আনোয়ার হোসেন, মোঃ ইয়ানুছ মেম্বার, মোঃ দ্বীন ইসলাম মেম্বার, মোঃ জামাল উদ্দীন, মোঃ জসিম উদ্দিন, রিয়াজ মাহমুদ মান্নানসহ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পাঁচ হাজারের অধিক নেতাকর্মী।
মন্তব্য করুন