শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান
মনিপুর বিট অফিসের দুর্নীতি আর অনিয়ম যেন থামছেই না। বন বিভাগের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উঠেছে ঘুষ বাণিজ্য, মামলা বাণিজ্য আর ক্ষমতার অপব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ।
অভিযোগ অনুযায়ী, মনিপুর বিট অফিসের দায়িত্বে থাকা বিট অফিসার মান্নান নিজের পকেট ভারি করতেই ব্যস্ত। তার সহযোগী আনোয়ার ও লিটন-এর মাধ্যমে চলছে ভয়াবহ ঘুষ বাণিজ্য।
স্থানীয়দের দাবি, কারও জমিতে সামান্য বন গাছ থাকলেই বা কেউ বনভূমির পাশে ঘর তুললে—দেওয়া হয় মামলার ভয়।
কে টাকা দেয়, কে দেয় না—এই তালিকা করেই নাকি চালানো হয় “উচ্ছেদ” বা “মামলা”র খেলা।
এক স্থানীয় ভুক্তভোগীর ভাষায়:
> “বনের নাম করে টাকা চায়, না দিলে বলে মামলা দিব। আমরা গরিব মানুষ—এই ভয়ে কেউ প্রতিবাদও করতে পারি না।”
বনের নামে মামলা, মামলার নামে ঘুষ—এই চক্রের বলি হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
যারা প্রতিবাদ করছেন, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আর হয়রানি করা হচ্ছে—এমন অভিযোগও উঠেছে এলাকাবাসীর কাছ থেকে।
পরিস্থিতি এমন যে, গাজীপুরের মনিপুর এলাকায় মানুষ এখন বিট অফিসের নাম শুনলেই আতঙ্কে থাকে।
বন রক্ষার দায়িত্বে থাকা এই কর্মকর্তাদের এমন কর্মকাণ্ডে প্রশ্ন উঠেছে—
“বন রক্ষা করবে কে, যখন বনকর্মীরাই বনের সবচেয়ে বড় শত্রু?”
স্থানীয়দের দাবি,
দুর্নীতিবাজ অফিসারদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে,
না হলে গাজীপুরের বন যেমন হারিয়ে যাবে, তেমনি হারিয়ে যাবে সাধারণ মানুষের আস্থা।