পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দ্বীপজেলা ভোলায় জমে ওঠেছে কোরবানির পশুর হাট। বিভিন্ন হাটে প্রচুর পরিমান দেশী পশু বিক্রির জন্য আনা হলেও হাটে সবচেয়ে আকর্ষণী সকলের নজর কেরেছে ২০ থেকে ২২মন ওজনের বিশালদেহী ষাঁড় ‘রাজা বাবু’। কিন্তু এখনো তেমন বেচা বিক্রি বাড়েনি। এতে করে বিক্রেতারা হতাশায় পড়েছে। অপর দিকে গরুর দাম বেশী হওয়ায় কথা বলে সাধারণ ক্রেতারা হিমসিম খাচ্ছে। উচ্চমূল্যের কারণে ‘রাজা বাবু’ প্রতি আগ্রহ থাকলেও হাত বাড়াচ্ছেন না অধিকাংশ ক্রেতা। তবে স্থানীয়রা আশা করছে ঈদের দুই এক দিন আগে প্রচুর পরিমান গরু ও ছাগল বিক্রি হবে। এদিকে ভোলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ বলছে, ভোলা জেলায় কোরবানীর চাহিদার চেয়ে অধিক পশু প্রস্তুত রয়েছে।
সরেজমিনে বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা যায়, মহান আল্লাহর সন্তুুষ্টির জন্য পশু কোরবানির উদ্দেশ্য ভোলার বিভিন্ন হাট গুলোতে এখন প্রচুর পরিমান ক্রেতা ও বিক্রেতারদের সমাগম। ভোলার পরানগঞ্জ , ইলিশা হাটে ক্রেতার সমাগম ছিলো চোখে পরার মতো। সারি সারি গরু নিয়ে বিক্রির জন্য অপেক্ষা থাকে পশুর মালিকরা। ক্রেতারা দেশী পছন্দের গরু ও ছাগর কেনার জন্য ঘুরে ঘুরে দেখছেন। দাম যাচাই করছেন। অপর দিকে গবাদী পশুর খামারি ও বিক্রেতারাও বিক্রির জন্য বিভিন্ন হাটে তাদের পশু নানা সাজে সাজিয়ে ক্রেতাদের দৃষ্টি আর্কষনের জন্য চেষ্টা করছেন। কিন্তু এবারের হাটে সকলের নজর কেড়েছে অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান সাহিওয়াল জাতের বিশাল দেহের রাজা বাবুর। চার দিকে থেকে ষাঁড়টিতে দেখছেন উৎসুক মানুষ। ষাঁড়টির মালিক ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপাতা গ্রামের খামারী মো. আল আমিন। তিনি জানান, তার এই ষাঁড়টির দাম হাঁকিয়েছেন ৬লাখ টাকা। ষাঁড়টির লাইভ ওয়েট হচ্ছে ২০ থেকে ২২মন। তবে তাঁর বাড়িতে এসে ষাঁড়টির দাম সাড়ে চার লাখ টাকা বলে গেছেন এক ক্রেতা। তিনি সাড়ে ৫লাখ টাকা হলে ষাঁড়টি বিক্রি করে দিবেন।
মন্তব্য করুন