বরগুনায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বরগুনা সদর হাসপাতালসহ ও ছয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে আক্রান্ত অনেক মানুষ । ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকেরা। বরগুনা জেলার ৬টি উপজেলার হাসপাতালে সেবার মান ভালো না থাকায় প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ সেবা নিতে জেলা শহরের এই হাসপাতালেই আগমন করে। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে গত ৪৮ ঘন্টায় ১৬৯ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। আরও জানা যায় ডায়রিয়া আক্রাত হয়ে গতকাল ১(এক)জন রোগীর মৃত্যু ঘটে। এসব রোগীদের সেবা দিতে চিকিৎসকদের বেগ পেতে হচ্ছে । হাসপাতাল কতৃপর্ক্ষ জানিয়েছেন হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমান কলেরা ও খাবার স্যালাইন রয়েছে।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ তাজকিয়া সিদ্দিকা বলেন, হঠাৎ করে ডায়রিয়া প্রকোপ দেখা দিয়েছেন। অনেক রোগী আমরা সামাল দিতে পারছি না। চিকিৎসক স্বল্পতার কারনে আমাদের চিকিৎসকরা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। তিনি আরও জানান এই সময় ডায়রিয়া রোগ বেড়ে যায়।বর্ষা শুরু হলে ডায়রিয়া রোগ কমে যাবে।
সরেজমিনে বরগুনা সদর হাসপাতালে ঘুরে দেখা গেছে,শিশু ও বয়স্ক মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শয্যাসংকটের কারণে হাসপাতালের মেঝে ও করিডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। তবে হাসপাতালের নোংরা পরিবেশে দুর্গন্ধ ছাড়াচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নারী বলেন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত মেয়ে শিশুকে নিয়ে গতকাল শনিবার সকালে বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করিয়াছেন। তিনি বলেন এই হাসপাতালে শুধু আইভি স্যালাইন দিয়ে থাকে।বাকি ঔষুধ বাহির থেকে কিনে চিকিৎসা করাতে হয়।তাছাড়া এই হাসপাতালে কোনো শয্যা নেই।মেঝেতে বিছানা করে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।
বরগুনা সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশীরভাগই নারী ও শিশুরা ডায়রিয়ার আক্রান্ত হয়ে গত সকালে বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসা সেবা ভালো হলেও হাসপাতালের পরিবেশ খুব নোংরা। এতে সুস্থ মানুষ ও অসুস্থ হয়ে যায়।
আবহাওয়া পরিবর্তন ও ময়লা যুক্ত পানি পান করা সহ নানা কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের সকল প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। আমাদের পযাপ্ত পরিমান ঔষুধ রয়েছে।