রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে দুই স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতর নাম শিহাব মন্ডল। সে পাংশা উপজেলার কসমাবাঝাইল ইউনিয়নের কুঠি মালিয়াট গ্রামের উজ্জল মন্ডলের ছেলে।
রবিবার (১৫ জুন) সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে উপজেলার বনগ্রাম আতারুন্নেছা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ওই দুই ছাত্রী এ ঘটনার শিকার হন।
ভুক্তভোগী দুইজনই সরিষা ইউনিয়নের বড় বনগ্রাম (সাহাপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা। তাদের একজনের বয়স ১৩ ও আরেকজনের ১৪ বছর। ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থী একই বিদ্যালয়ে অস্টম শ্রেণির ছাত্রী।
অভিযুক্তরা হলো, একই উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের কুঠি মালিয়াট গ্রামের জেহের আলীর ছেলে হাসমত আলী (২০) ও উজ্জ্বল মন্ডলের ছেলে শিহাব মন্ডল (১৯)। রোববার সন্ধ্যায় এক শিক্ষার্থী বাবা ও অপর শিক্ষার্থী মা বাদী হয়ে পাংশা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর শিহাব মন্ডলকে পুলিশ গ্রেফতার করে । সোমবার দুপুরে তাকে রাজবাড়ী আদালতে পাঠিয়েছে।
ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থী জানান, তারা দুজন স্কুল থেকে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে হাসমত ও শিহাব তাদের পথরোধ করে। ব্লেড বের করে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক নাওড়া বনগ্রামে মাঠের মধ্যে একটি পানের বরজে তাদের নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক তাদের ধর্ষণ করে হাসমত ও শিহাব। পরে এ কথা কাউকে না বলার জন্য অভিযুক্তরা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চলে যায়।
এ বিষয়ে পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, "স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। একটি মামলায় শিহাব মন্ডলকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর হাসমতকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ওসি আরো বলেন, হাসমত কিছু দিন আগে ডাকাতি মামলায় জেল খেটে বের হয়েছে। এলাকায় দুজনেই বোকাটে হিসেবে পরিচিত।
মন্তব্য করুন