মো. শাহজাহান ফকির।।
ময়মনসিংহের নান্দাইলে বিরোধপূর্ণ জমিতে জোরপূর্বক স্থাপনা নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই আহত হয়েছে। কিন্তু একটি পক্ষ অপর পক্ষের বিরুদ্ধে মারধর ও চাঁদাবাজির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেছে। ভুক্তভোগী পরিবারগুলো স্থানীয় সালিশ এবং পুলিশের দ্বারস্থ হলেও কোনো সমাধান না হওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ঘটনার সূত্রপাত উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের বাতোয়াদী গ্রামে। ভুক্তভোগী ইদ্রিস আলী, কাঞ্চন মিয়া ও মোহাম্মদ আলীর অভিযোগ, তারা ২০২৩ সালে ৮০৪০ নম্বর দলিল মূলে রহিমপুর গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের পুত্র নূরে আলম ও আওয়ালের কাছ থেকে জাহাঙ্গীরপুর মৌজার ২০৭৫ খতিয়ানের ৬৬২৩ দাগের ৯৬ এর খাত ৫০ শতাংশ জমি কেনেন। কিন্তু প্রতিবেশী জয়নাল মিয়া ও তার লোকজন সেই জমি নিজেদের দাবি করে জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছে।
ভুক্তভোগীদের ভাষ্যমতে, গত ২৬ জুন জয়নাল মিয়া ও তার দুই ছেলে রোমান মিয়া ও হিমেল মিয়াসহ আরও কয়েকজন মিলে ওই জমিতে ঘর নির্মাণের চেষ্টা চালায়। তখন ইদ্রিস আলী নান্দাইল মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জয়নাল মিয়াকে জমির মালিকানার কাগজপত্র দেখানোর জন্য ১৫ দিনের সময় দেয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগেই গত রোববার (২৭ জুলাই) জয়নাল মিয়া তার লোকজন নিয়ে পুনরায় জমিতে ঘর নির্মাণ শুরু করলে ইদ্রিস আলী ও তার পরিবারের সদস্যরা বাধা দেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে ইদ্রিস আলীর পক্ষের হীরা মিয়া, জামিরুল, আমিরুল, কাঞ্চন ও মোহাম্মদ আলী এবং জয়নাল মিয়ার পক্ষের সুলতান উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
ভুক্তভোগী ইদ্রিস আলী বলেন, "আমরা সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেই জমি কিনেছি। কিন্তু জয়নাল গংরা কোনো স্বত্ব ছাড়াই জোর করে আমাদের জমি দখল করতে চাইছে। এখন তারা ঘটনা আড়াল করতে আমাদের বিরুদ্ধে মারধর সহ চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে।" তিনি ও তার পরিবার এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে এবং নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঊর্ধ্বতন পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত জয়নাল মিয়া তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, "আমি আমার কেনা জমিতেই ঘর নির্মাণ করছি। তাদের অভিযোগ সত্য নয়।"
মন্তব্য করুন