মোঃ মশিউর রহমান
শিক্ষা, সংস্কৃতি ও মানবিক মূল্যবোধে গড়ে ওঠা পার্বতীপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জ্ঞানানকুর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এ বছর পদার্পণ করছে গৌরবময় শতবর্ষে। প্রতিষ্ঠার শততম বছরকে স্মরণীয় করে রাখতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত হয়েছে এক উৎসবমুখর প্রস্তুতিমূলক সভা।
গত ৩ নভেম্বর ২০২৫ (সোমবার) বিকেল ৪টায় বিদ্যালয়ের হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও সাবেক পৌর মেয়র এ. জেড. এম. মেনহাজুল হক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদ্দাম হোসেন।
সভায় বক্তারা বলেন, বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন কেবল একটি অনুষ্ঠান নয়— এটি প্রজন্মান্তরের শিক্ষা, ঐতিহ্য ও মানবিক চেতনার এক মহোৎসব। তারা উল্লেখ করেন, “এক শতাব্দীর দীর্ঘ পথচলায় জ্ঞানানকুর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় হয়ে উঠেছে পার্বতীপুরের গর্ব। প্রজন্মের পর প্রজন্ম এখানে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়েছে।”
সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আগামী ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ (শুক্রবার) বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে বহুল প্রত্যাশিত শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠান। দিনব্যাপী এই উৎসবে অংশ নেবেন প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক এবং সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে থাকছে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্মৃতিচারণ ও সম্মাননা প্রদানসহ নানা আয়োজন।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক পরিষদের প্রতিনিধি এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তারা জানান, শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ইতোমধ্যে বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করা হয়েছে এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে এ. জেড. এম. মেনহাজুল হক বলেন,
“জ্ঞানানকুর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি পার্বতীপুরের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক চেতনার প্রতীক। শতবর্ষের এই মাইলফলক আমাদের সকলের জন্য এক গর্বের অর্জন।”
প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন,
“বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন পার্বতীপুরের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় রচনা করবে। শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও মানসিক বিকাশে এই প্রতিষ্ঠান যুগ যুগ ধরে যে অবদান রেখে আসছে, তা আগামী প্রজন্মের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।”
সভায় বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অতিথিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি পরিণত হয় এক স্মৃতিময় মিলনমেলায়। সবার মুখে একটাই স্লোগান—
“গর্বের ১০০ বছর, অগ্রযাত্রার নতুন সূচনা।”
মন্তব্য করুন