নারায়ণগঞ্জ বন্দর মুছাপুর ইউনিয় ন ৬ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবদীন জনি (ঝন্টু) ও তার স্ত্রী একই ওয়ার্ডের মহিলা লীগের নেত্রী হনুফা আক্তার। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগে এলাকায় খুবই দাপটের সাথে চলাফেরা করতেন, এলাকায় সাধারণ মানুষের কাছে নিজেদেরকে প্রভাবশালী একজন নেতা-নেত্রী হিসেবে জাহির করতেন। ওই এলাকার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ হোসেনের কর্মীদের সাথেও,তাদের একজন শক্ত প্রতিপক্ষ ভাব দেখাতেন। কিন্তু ৫ই আগস্টের পর কিছুদিন আত্মগোপনে চলে যায়। এরপর তিনি স্থানীয় বিএনপি কিছু নেতার সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন,ও শ্বশুরবাড়ি এলাকার কিছু বিএনপি নেতার সাথে কৌশলে সমঝোতা করে বাড়িতে বসবাস করতে থাকে।খোঁজ নিয়ে জানা যায় শ্বশুরবাড়ির সাথে এই হনুফা বেগমের পারিবারিক বন্ডিং ভালো ছিল না। এই হনুফা ও তার স্বামীর হাতে,তার শশুর তার শাশুড়ি শারীরিকভাবে কয়েকবার লাঞ্চিত হয়েছে, এছাড়া ঐ বাড়ির ভাড়াটিয়ার মেয়ে এবং পার্শ্ববর্তী বাড়ির মহিলা তার হাতে আক্রমণের শিকার হয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়া হনুফা আক্তার ও তার স্বামী মিলে তার আপন বউয়ের উপরে তিন চার দিন তার চুল ছিঁড়ে ফেলে এবং একবার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে, পারিবারিক মান সম্মানের ভয়ে ভুক্তভোগী দেবের স্ত্রী কোন মামলা জরাতে চায়নি। এমত অবস্থায় গত ১০ই জুন চাপকল ঠিক করার সামান্য ১২০ টাকা বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হনুফা তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে শরীরে আঘাত করলে,তার দেবর স্ত্রী তার দেবরকে সরিয়ে আনতে গেলে হনুফা ও তার স্বামী দেবরের স্ত্রীকে চুলের মুঠো ধরিয়া বিভিন্নভাবে আঘাত করিতে থাকলে নাক দিয়ে রক্ত বের হলে,তখন আশেপাশে লোক জন জড়ো হলে ছেড়ে দেওয়া হয়। হনুফা ও তার স্বামী এতেও মনের তৃপ্তি না পেয়ে,তাদের প্রভাব ও দাম্ভিকতা দেখাতে,গত ১৫ই জুন তারিখে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে মামলা দায়ের করেন তার দেবর ও দেবরের ছেলে, জালের বিরুদ্ধে মামলায় করেন হনুফা আক্তার। মামলায় উল্লেখ করে যে আসামি একজন মাদকাসক্ত এবং সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ ও নারী ধর্ষণকারী। বাদী হনুফা আক্তারের স্বামীর প্রবাসে থাকেন, এই সুযোগে পার্শ্ববর্তী বাড়ির ১ নং আসামি মিজান মাঝে মাঝেই তাকে কুপস্তাপ দেয় কিন্তু হনুফা এতে রাজি না হলে আসামি মিজান সুযোগ বুঝে গত ১০ তারিখে তারপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, হনুফা ইজ্জত রক্ষার্থে চিৎকার করিতে থাকে আশেপাশের লোকজন তাকে ছাড়াতে আসলে আসামীর ছেলে ও তার স্ত্রী তার উপরে আক্রমণ চালায়,এবং বিভিন্ন ভয়-ভীতি হুমকি দেখাইয়া চলে যায়। এই অভিযোগে হনুফা নারায়ণগঞ্জ কোটে মামলা দায়ের করে। কিন্তু সরজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, হনুফা আক্তারের স্বামী তাকে বিবাহ করার চার বছর আগে বিদেশ থেকে চলে আসে, এরপর রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনি বিদেশে যাননি,এবং তার স্বামী একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি। এলাকায় ঘুরে কয়েক জন ব্যক্তির কাছে খোঁজ নিয়ে জানা যায় নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক তারা বলেন যাকে আসামি দেওয়া হয়েছে এই মিজান কখনো একটা সিগারেট টান দেননি কিন্তু তার বিরুদ্ধে এই ধরনের মাদকাসক্ত মিথ্যে মামলা দেওয়াটা কোনভাবেই কাম্য নয়। হনুফা ও তার স্বামী শুধুমাত্র হিংসা ও তাদের সেই পুরাতন ক্ষমতার আবির্ভাব দেখাতেই এই মামলা দায়ের করেছে বলে মনে হয়।
মন্তব্য করুন