বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড চরকচ্চপিয়া এলাকার আব্দুল আজিজ মুন্সি বাড়ির মো. হারুন মুন্সির (৫৫) বসত ঘরটি গ্যাস সিলিণ্ডার বিস্ফোরণে পুরোপুরি ভাবে পুড়ে যায়।
হারুন মুন্সির মেয়ে মোসাম্মদ নাহার জানান, ঈদ উপলক্ষে আমি বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছি। বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ গ্যাস সিলিণ্ডার বিস্ফোরণে আমাদের ঘরে আগুন লেগে পুরোপুরি ভাবে ঘরটি পুড়ে যায়। অগ্নিকান্ডের সময় বাবা দোকানে ছিলেন, মা আর আমি ঘরের বাহিরে এক প্রতিবেশির সঙ্গে কথা বলছিলাম। এরই মধ্যে ঘরের ভিতর আগুন জ্বলতে দেখে ডাক চিৎকার দেই। আমাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা ছুটে আসে। তারা এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসও আসে। তবে মাত্র ৩০মিনিটের ভিতরে ঘরে থাকা আমার বোন জামাই এর জমি কেনার জন্য রাখা ৭ লক্ষ ৮২হাজার টাকা ঘরের চাল, ডাল, জামা কাপড়সহ সবকিছুই পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। এ দৃশ্য দেখে আমার বৃদ্ধ বাবা ও মা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন। আমার বাবা ছোট্ট একটি মুদি দোকান করে কোনো রকমে সংসার চালাচ্ছেন। তার ওই আয় থেকে গত তিন বছর আগে নতুন করে একটি টিনসেট ঘর করেন।
তিনি আরো জানান, বিকেল ৩টায়ও বাবা মায়ের জ্ঞান ফেরেনি। এছাড়া অগ্নিকান্ডে আমাদের শরীরের জামা কাপড় ছাড়া আর কিছুই নেই। আমাদের কোনো ভাই নেই। আমরা কেবল চার বোন। সব বোনেরই বিয়ে হয়ে গেছে। বাবা অনেক কস্ট করে মাকে নিয়ে সংসারটা চালাচ্ছেন। এখন পুড়ে ছাই হওয়া ঘরটি আমার বাবার পক্ষে নতুন করে তোলা কোনো ভাবেই সম্ভব না। তাই সরকারের কাছে ঘরটি পুনঃর্নির্মানের জন্য আর্থিক সহযোগিতা কামনা করছি।
প্রতিবেশি কবির, মিরাজ ও তাজউদ্দিন মুন্সি জানান, আমরা খবর পেয়ে এসে আগুন নিভানোর চেষ্টা করি। ফায়ার সার্ভিসের লোকজনও এসে চেষ্টা করে
কিন্তু ততক্ষণে সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এদিকে খবর পেয়ে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা রুহুল আমিন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সাথে দেখা করেন। তাদেরকে ধৈর্য্য ধারণ করার পরামর্শ দেন এবং সম্ভাব্য সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
মন্তব্য করুন