ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার প্রতিবাদে যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন ( এম এম) কলেজ শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এ সময় সাম্য হত্যায় জড়িত সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজেদুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ নেওয়াজ ইমরান, কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শেখ হাসান ইমাম সদস্য সচিব ( ভারপ্রাপ্ত) কামরুল ইসলাম । এসময় উপস্থিত ছিলেন কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম বিল্টু, টিটোন তরফদার, গোলাম সরোয়ার, ছাত্রনেতা , কানোয়ার হোসেন, আকিব আনোয়ার, আব্দুস সামাদ, মেহেদী হাসান প্রমুখ।
এ সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা 'আমাদের অঙ্গীকার, নিরাপদ ক্যম্পাস', 'আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে', 'ফাঁসি ফাঁসি চাই, হত্যাকারীর ফাঁসি চাই', 'খুন হয়েছে আমার ভাই, খুনি তোদের রক্ষা নাই', 'সাম্য ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেত দেব না', 'ক্যাম্পাসে লাশ পড়ে, প্রশাসন কী করে'সহ নানা স্লোগান দেন।
এসময় বক্তারা বলেন , “আমরা দেখেছি, আমাদের ভাই সাম্যকে কীভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে কীভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়, তা আমাদের প্রশ্ন। আমরা আরও দেখেছি ভিসিকে কয়েকবার ক্যাম্পাসকে নিরাপদ করার জন্য স্বারকলিপি দিয়েছে । কিন্তু কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাইনি। ক্যাম্পাসে ৫ আগস্টের আগের কয়েক বছরে একটিও খুনের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু ৯ মাসে কীভাবে দুটি হত্যা হয়। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়া আজকের মধ্যে প্রক্টরকে আর তার পদে দেখতে চাই না। সেই সঙ্গে ভিসির পদত্যাগ দাবি করছি।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন সাম্য। পরে বন্ধুরা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শাহরিয়ার আলম সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০২৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন।