সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলায় যমুনার দুর্গম চর অঞ্চল ঘোরজান ইউনিয়নের মুরাদপুরের কাউলিয়ার চরে খামারি তারা মিয়াকে (৬৫) হত্যা করে গরু ডাকাতির ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় একটি ষাড় গরুও উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২০ মে বিকেলে গরু দেখাশোনা ও রাত্রি যাপনের জন্য খামারি তারা মিয়া ও তার নাতি ইব্রাহিম খলিল (১৮) কাউলিয়ার চরে ছাপড়া ঘরে থাকতেন। ওই রাতে আনুমানিক রাত সাড়ে ১২টার দিকে ১০-১২ জনের একটি ডাকাত দল অস্ত্র নিয়ে সেখানে হানা দেয়। তারা ঘরে ঢুকে দুজনকে হাত, পা ও মুখ বেঁধে ফেলে এবং তিনটি গরু নিয়ে যায়। পরে তারা মিয়াকে বাঁশের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মুখে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। ইব্রাহিম বাঁধন খুলে স্থানীয়দের খবর দিলে পুলিশ এসে পরদিন মামলা রুজু করে।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ড ও ডাকাতির ঘটনার পর পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেনের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) মোঃ কামরুজ্জামান, জেলা ডিবির ওসি মোঃ একরামুল হোসাইন ও এসআই শারফুল ইসলাম ও নাজমুল হকের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম তদন্তে নামে।
তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সাত ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলো—
১. ইউসুফ আলী (২৮), সিরাজগঞ্জ
২. শাহ আলম (৪০), টাঙ্গাইল
৩. হাসান মণ্ডল (২৫), টাঙ্গাইল
৪. আমির হোসেন (৪৫), টাঙ্গাইল
৫. শাহিদ ওরফে সাঈদ (৪১), টাঙ্গাইল
৬. আব্দুল মালেক (২৮), সিরাজগঞ্জ
৭. ইসমাইল ব্যাপারী (৫৩), টাঙ্গাইল
পুলিশ জানায়, গ্রেফতাররা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য এবং তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দিতে তারা জানায়, ১৭-১৮ জন মিলে দুটি নৌকায় করে চরাঞ্চলে গিয়ে ডাকাতি করে। তিনটি গরু ১ লাখ ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে প্রত্যেকে ৫ হাজার টাকা করে ভাগ নেয়।
ডাকাত দলের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
মন্তব্য করুন