সাইফুর রহমান পারভেজ।।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া গফুর মোল্লার পাড়ায় অতিবৃষ্টিতে ধসে গেছে গ্রামীণ সড়ক। এতে করে কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। গত কয়েক দিনের অতিবৃষ্টিতে এই গ্রামীন সড়কটির ধসের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা জানান,এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষের কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল।এই গ্রামীন সড়কটি ব্যবহার করেই কয়েকটি গ্রামের কৃষি পণ্য আশপাশের হাটবাজারে নেয়া হয়।গত কয়েক দিনের টানা অতিবৃষ্টিতে সড়কটির কয়েকটি স্থানে ধসে বিশাল বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়।এতে করে কয়েকটি গ্রামের মানুষের চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। রাস্তাটি ধসে যাওয়ার কারণে এই অঞ্চলের বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়া-আসা সমস্যা হচ্ছে।
সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কয়েকদিনের অতিবৃষ্টিতে ইটের সলিং সহ গ্রামীন সড়কটি ধসে পাশে থাকা একটি পুকুরে চলে গেছে।ওই এলাকার কোন রোগী বা গর্ভবতী মাকে কোন পরিবহনে করে হাসপাতালে নিতে পারছে না। এতে করে ওই অঞ্চলের মানুষেরা দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছে। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সড়কটির বিভিন্ন স্থানে বিশাল বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে এ অঞ্চলের মানুষ কৃষি পণ্যসহ কোন কিছুই পরিবহনে করে আশেপাশের হাটবাজারে নিতে পারছে না। তারা দ্রুত এই গ্রামীন সড়কটির সংস্কার চায়।
দৌলতদিয়া হকার্স সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক লালটু মন্ডল জানান,আমাদের এই অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের জন্য একটি মাত্রই সড়ক। এই গ্রামীন সড়কটি গত চার মাস আগে ইটের সলিং করা হয়েছে। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এই রাস্তাটির বিভিন্ন স্থান ধ্বসে গিয়ে বিশাল বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।যার কারণে আমাদের এই অঞ্চলে কোন যানবাহন আসতে পারছে না।
কোন ধরনের যানবাহন না আসায় কৃষি পণ্যসহ রোগী বা গর্ভবতী মাকে আমরা হসপিটালে নিতেও পারছি।আমাদের চলাচলের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটি সংস্কার করা হলে এই এলাকার মানুষ স্বস্তি পাবে।
গফুর মোল্লা পাড়ার মাজেদা বেগম জানান, অতিবৃষ্টিতে রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় আমাদের চলাচলে খুবই কষ্ট হচ্ছে। কেউ অসুস্থ হলে তাকে আমরা ডাক্তারের কাছে নিতে পারছি না। রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় আমরা ধান পাট বাজারে নিতে পারছি না। রাস্তাটি তিন জায়গায় বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে। আমাদের বাচ্চারা ও স্কুলে যেতে পারছে না। আমরা চরম ভোগান্তির মধ্যে আছি। আমরা চাই এই রাস্তাটি যেন দ্রুত সংস্কার করা হয়।
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো.নিজাম উদ্দিন জানান,আমি নিজে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করিবো।
গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আবু বকর জানান, আমরা দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদকে বলছি তারা
ধসে রাস্তাটি পরিদর্শন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
মন্তব্য করুন