তরু খান
গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসএসসি"র ভুয়া সার্টিফিকেট ও বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর জ্বাল করে সহকারি শিক্ষক পদে চাকুরী করার অভিযোগ উঠেছে।
জানাগেছে বিগত ১৯৯০ সালে কামারপাড়া পিএম ইনট্রিটিউশন হতে এসএসসি পাশের ভুয়া সার্টিফিকেট দেখিয়ে ও সুন্দরগঞ্জ ধোপাডাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আবুল খায়ের মাহমুদ হাসান বিশ্বাস সহকারি শিক্ষক(ইংরেজি)পদে ৭ফেব্রুয়ারি-২০১১ যোগদান দেখিয়ে চাকুরি করে আসছে।
এনিয়ে সেই সময়কার তার বন্ধু-বান্ধবদের দেয়া তথ্যানুযায়ি সে এসএসসি পরীক্ষাই দেয়নি এ সংবাদে এলাকার অভিভাবক মহল বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেয়।এনিয়ে কামারপারা পিএম ইনস্টিটিউশনের ১৯৯০ সালের ট্যাবুলেশন খতিয়ে দেখে তার কোন তথ্যপাওয়া যায়নি।
অপর দিকে ধোপাডাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের২০১০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর হতে ২৪ ফেব্রুয়ারী২০১১ ইং সময়ের এডহক কমিটির সভাপতি ফজলার রহমান বলেন আমার দায়িত্ব চলাকালিনে আবুল খায়ের মাহমুদ হাসান বিশ্বাস নামে কোন শিক্ষক নিয়োগ দেইনি।।২০১১সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী হতে ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ ইং পর্যন্ত দায়িত্বে থাকা প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান আকন্দ তার স্ব-হস্তে লিখিত অঙ্গিকার নামায় বলেন আমার প্রধান শিক্ষকপদে চাকুরী করা কালিন আবুল খায়ের মোঃ মাহামুদ হাসান বিশ্বাস নামে কোন শিক্ষকের নিয়োগ/যোগদান হয়নি। উল্লেখ্য যে,আবুল খায়ের মাহামুদ হাসান বিশ্বাসের এসএসসির১৯৯০সালে সার্টিফিকেটে দেখা যায় যে তার রোল সাদুল্লা,,পি -৬৭৯।
কিন্তু রোল সাদুল্লা-পি-৬৭৯ শিক্ষা বোর্ড রাজশাহি অনুসন্ধানে গিয়ে,,৬৭৯/১৯৯০ (বিভাগ উন্নয়ন পরীক্ষা)কেন্দ্র গাইবান্ধা।মোঃ সাজ্জাদ হোসেন,টি ইউ এসসি উচ্চ বিদ্যালয়, উজান তেওড়া নামে তথ্য মেলে।
এ বিষয়ে সহকারি শিক্ষক আবুল খায়ের মাহামুদ হাসান বিশ্বাসের সাথে বিদ্যালয়ে সাক্ষাৎ করে জানতে চাইলে,, তিনি বলেন আমি এ বিষয়ে কাউকে কোন তথ্য দিতে বাধ্য নই,আর কোন তথ্যও দিব না।আরএসব দুর্নীতি ঢাকতেই নিজেকে সাংবাদিক পরচয় দিয়ে বেরাচ্ছেন।