হয়রানি ও ভয়ভীতি মুক্ত সেবা নিশ্চিত করে পুলিশি সেবায় সেরা অবস্থানে রয়েছে কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল থানা পুলিশ। অফিসার ইনর্চাজ মোহাম্মদ সাব্বির রহমান ওসি হিসাবে থানায় পদায়নের পর তার জনকল্যাণ মুখী নানান বিশেষ উদ্যোগে বদলে যায় থানার সেবার মান। পুলিশি সেবা জনগণের কাছে দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নিজ উদ্দেগ্যে থানায় রুজুকৃত সকল মামলা জিডি অভিযোগ নিবিড়ভাবে মনিটরিংএর আওতায় নিয়ে আসা হয়।
থানা পুলিশের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে বসানো সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে থানার ডিউটি অফিসার, হাজতখানা। তিনি সাধারণ সেবাপ্রত্যাশীর সঙ্গে থানার অফিসাররা কেমন ব্যবহার করা হয়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে বসিয়ে রাখা হয়েছে কিনা, মামলা বা জিডির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তদন্ত করতে যাচ্ছে কিনা, তদন্ত করতে গিয়ে কোনো ধরনের হারাজমেন্ট করা হচ্ছে কিনা তা জানা হচ্ছে।
এলাকায় একযোগে মসজিদ, মন্দির ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে চালানো হচ্ছে সচেতনতা কার্যক্রম। বিভিন্ন সময় জনসাধারণের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে তুলছেন ধরছেন ওসি নিজেই। জরুরি সেবা ৯৯৯-এর কথাও ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে। বিট ইনচার্জদের মোবাইল নম্বরে যে কোনো বিপদ ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হলেই এই প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে সেবাপ্রত্যাশীরা
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা নিতে বলা হয়েছে। পুলিশি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতেই থানার পক্ষ থেকে ফেসবুক পেজ খোলা হয়েছে। এ ফেসবুক পেজে সাধারণ জনগণ কী ধরনের সেবা চাচ্ছেন বা কাঙ্ক্ষিত সময়ের মধ্যে তা না পেলে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া আসছে, তা মনিটর করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাওয়া হচ্ছে। একজন এসআই ও কনস্টেবলের সমন্বয়ে উন্মুক্ত ফেসবুক পেলে জনগণের মতামত ও মনোভাব জেনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আলাদা টিম কাজ করছে বলে জানান ওসি মোহাম্মদ সাব্বির রহমান।