মোহাম্মদ আলী মাস্টার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলা স্বপ্নের শাহজাদাপুর ইউনিয়নে সেতু নির্মাণের অনিয়মের অভিযোগ উদ্বোধনের পূর্বেই বিশাল ফাটল যেকোন সময় ভেঙ্গে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
দেশ স্বাধীনতা লাভের পরবর্তী সময় ৫৪ বছর ধরে শাহজাদাপুর ইউনিয়ন এবং আশপাশের গ্রামের হাজার হাজার মানুষের একটি মাত্র স্বপ্ন ছিল, একটি সেতু,ও ভালো একটি রাস্তা, যা বাস্তবায়িত হলে অন্তত ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষের চলাচলে পথ সুগম হবে, ব্যবসা, কৃষি, শিক্ষা, চিকিৎসা ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটবে।
বিলম্বে হলেও ২৩–২০২৪ অর্থবছরে প্রাপ্ত বরাদ্ধে নির্মাণ কাজ শুরু হয়, কিন্তু আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্ভোধনের আগেই সেই স্বপ্ন ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় পরিণত হয়েছে। জানা গেছে ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মানাধীন সেতুটি ছিল বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর স্বপ্ন, সেটিই এখন অনিয়ম, অবহেলা আর দূর্নীতির কারণে ভেস্তে যাচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতুটি নির্মাণে সিমেন্ট কম ব্যবহার করা হয়েছে, এবং কিউরিং না করেই ঢালাই শেষ করা হয়েছে, ফলে ঢালাইয়ের অংশ ফেটে যাচ্ছে।
এখনো পুরোপুরি উদ্বোধন না হওয়া সত্ত্বেও সেতুটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে, যে কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ও ঝুঁকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। গতকাল ৩ ডিসেম্বর সরজমিন পরিদর্শনকালে উল্লেখিত চিত্র চোখে পড়ে।
এলাকাবাসী মোঃ আব্বাস আলী বলেন, আমরা ৫০ বছর অপেক্ষা করেছি, কিন্তু এখন দেখি সেতুটা দাঁড়ানোর আগেই ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা। এটা যদি আমাদের স্বপ্ন হয়, তবে সেটা বাস্তবায়নযোগ্য স্বপ্ন নয়। গ্রামবাসি হাসান আলী বলেন, সরকার টাকা দিয়েছে, কিন্তু কাজ হয়েছে দুর্বল, মালামাল ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের , এটা তদন্ত হওয়া দরকার। শাহজাদাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিন্টু মিয়া বলেন শুরুতেই ঠিকাদার নিম্নমানের ইট, বালি,সিমেন্ট রড ব্যবহার করে আসছিল, সুষ্ঠু তদারকির অভাবে এমনটা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এবিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লোকমান এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারি মোঃ লোকমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান কাজ আপাতত বন্ধ আছে,মাটি পাওয়া যাচ্ছে না, আমরা প্রাক্কলনের আলোকে কাজ করেছি,আমাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আনীত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ফাটলের কারণ খুঁজে বের করবো।
এলাকার অনেকেই জনতার খবরকে জানান, সেতু নির্মাণে সিমেন্ট, রড ও পাথরে অনিয়ম, কিউরিং না করেই ঢালাই শেষ, ফলে ঢালাই দুর্বল, কাজের নিরীক্ষা বা তদারকি ছিল দায়সারা ভাবে , ঠিকাদার অতিরিক্ত লাভের আশায় তার মনমতো কাজ করেছে। এবিষয়ে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের দায়িত্বে থাকা আব্দুর রহিম এর সংগে কথা বললে তিনি জানান, এফাটলে সেতুটির কোন সমস্যা হবে না, এরপরও বিষয়টি তলিয়ে দেখা হচ্ছে।
এলাকাবাসী দাবী হাজার মানুষের মনের বাসনা ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হউক।
মন্তব্য করুন