সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর পাশাপাশি অন্যতম একটা নদী ‘রত্না নদী’ উপজেলার উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়নের কটালপুর এলাকার ভিতর দিয়ে বয়ে চলা রত্না নদী যেমন দেশীয় মাছের চাহিদা মিটায় তেমনি কৃষিকাজ ও নৌ চলাচলের অন্যতম মাধ্যম।
রত্না নদীর উজানে খাশনিয়া হাওর ও ভাটিতে দুপড়িয়া হাওর হওয়ায় এ নদীতে নানা প্রজাতির প্রচুর সংখক মাছ পাওয়া যায়। প্রত্যেক বছর এখানে অর্ধকোটি টাকার মাছ বিক্রি হয় বলে স্থানীয়রা জানান।
বিক্রি ছাড়াও শৌখিন বড়শী শিকারিরা নানা জাতের মাছ শিকার করেন। রত্না নদীর পাবদা ও বোয়াল সিলেট খ্যাত।সিলেট ভ্রমণ প্যাকেজ
এ ছাড়াও দেশি দেশি ট্যাংরা, বাইমের জন্য নদীটির সুনাম আছে। এ নদীর রুই বোয়াল সহ অন্যান্য জাতের মাছ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যায় বিভিন্ন শহরাঞ্চলে। অন্যান্য বছরগুলোতে সরকার কতৃক লিজ দেওয়া হলেও এ অর্থবছর লিজ না দিয়ে নদীটি উন্মুক্ত রেখেছে সরকার।
রত্না নদী উন্মুক্ত খবরটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম। নদী উন্মুক্ত থাকায় আনন্দিত স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা আলী নেওয়াজ বলেন, নদী লিজে থাকায় নিজের কাগজের জায়গা নিয়েও ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। এবার সরকার নদীটি উন্মুক্ত রাখায় আমরা যার যার জায়গা ফিরে পাবার আশা রাখি। সেই সাথে নদীর মাছগুলোও বড় হবার সুযোগ পাবে।