নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনে অটোরিকশা চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপের প্রতিক্রিয়ায় হামলার ঘটনা ঘটে। সোমবার (১২ মে) দুপুরে ওই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে। এর আগে, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ‘গ্রীন এন্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ’ উদ্যোগের অংশ হিসেবে এবং শহরের যানজট নিরসনের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক মূল শহরে অটোরিকশা চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়।
সরেজমিন দেখা যায়, দুপুরে অটোরিকশা চালকরা নগর ভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে, তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে ব্যাপক হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা বাধা দিতে গেলে তাদের ওপরও হামলা করা হয়। হামলায় অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে সিটি কর্পোরেশনের সুপারভাইজার সম্রাট ইসলাম, যানজট নিরসন কর্মী শাওন, লিটন ও পলাশ গুরুতর আহত। হামলার সময় প্রায় দেড় ঘণ্টা নগর ভবন অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষোভকারীরা।
আহতরা জানান, অটোচালকদের হাতে ধারালো অস্ত্র দেখা গেছে।
সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এর আগে শহরে অটোরিকশা চালকদের বিরুদ্ধে যাত্রী হয়রানি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই হামলার ঘটনায় সাধারণ মানুষ ও সিটি কর্পোরেশনের কর্মীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন এই হামলাকে উস্কানিমূলক আখ্যায়িত করে জানান, হামলাকারীরা সন্ত্রাসী কায়দায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্র প্রতিনিধিদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
উল্লেখ্য, শহরে অবাধ প্রবেশের দাবিতে এর আগেও অটোরিকশা চালকরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন, যার মধ্যে চাষাঢ়ায় সড়ক অবরোধ ও নগর ভবন ঘেরাওয়ের মতো ঘটনাও রয়েছে। আজকের এই হামলা সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।