যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের পৃথক তালিকা প্রকাশ না করায় কলকাতার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (এসএসসি) দপ্তর অবরুদ্ধ করে রেখেছেন চাকরিচ্যুত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। সোমবার বিকেল থেকে চলা আন্দোলনে মধ্যশিক্ষা ভবনের মধ্যে আটকা পড়েছেন পর্ষদের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারসহ একাধিক কর্মকর্তা।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর নিয়োগ বাতিল হওয়ায় আন্দোলনে নামেন নিজেদের ‘যোগ্য’ দাবি করা চাকরিচ্যুত ব্যক্তিরা। তাঁদের মূল দাবি, যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। এ দাবির ভিত্তিতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ঘোষণা করেছিলেন, ২১ এপ্রিল সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে এসএসসির ওয়েবসাইটে যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
কিন্তু নির্ধারিত সময়ে তালিকা প্রকাশ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা সোমবার বিকেলে মধ্যশিক্ষা ভবন ঘেরাও করেন এবং রাতভর পর্ষদ কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রাখেন। মঙ্গলবার সকালেও অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকে।
এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সাংবাদিকদের বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশে কোনো নির্দিষ্ট নির্দেশ দেননি। আগের বৈঠকেও আন্দোলনকারীদের জানানো হয়েছিল, আইনজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী তালিকা প্রকাশ করা হবে। এখনো সেই আইনগত পরামর্শ না পাওয়ায় তালিকা প্রকাশ সম্ভব হয়নি।’
এদিকে মঙ্গলবার সকালে ভবনের ভেতর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে পর্ষদ চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ‘এই আন্দোলনে এখন শুধু শিক্ষকেরা নয়, বহিরাগতরাও যুক্ত হয়েছেন।’
এমন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা অভিযোগ করেন, আন্দোলনকারীদের অপমান করার উদ্দেশ্যেই পর্ষদ চেয়ারম্যানের এ ধরনের বক্তব্য।