প্রিন্ট এর তারিখঃ Oct 21, 2025 ইং || প্রকাশের তারিখঃ Aug 12, 2025 ইং
বারহাট্টায় শিক্ষক লাঞ্চিত, প্রতিবাদে ছাত্রদের মিছিল

বারহাট্টা (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি মুখলেছুর রহমান হীরা।
নেত্রকোণার বারহাট্টায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে অপর একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্তৃক লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। হাজিরা খাতায় দস্তখত সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগে জানা গেছে। প্রতিবাদে সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরের দিকে মিছিল করেছে বিদ্যালয়ের ক্ষুদে-শিক্ষার্থীরা।
অভিযোগে জানা যায়, গত (বৃহস্পতিবার) ৭ আগস্ট সেমিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) আবু মোসহাব মোহাম্মদ হায়দার খান বিদ্যালয়ের কক্ষে পাঠদানচলাকালে লাঞ্চিত হন। ভোক্তভোগী শিক্ষক বলেন, তার বিদ্যালয়ের অপর শিক্ষক রিক্তা আক্তার গত ৩দিন ধরে অনুপস্থিত রয়েছেন। ঘটনার দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নেত্রকোণা সদর উপজেলার কুমারপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাসুদ করিম তার স্ত্রী রিক্তা আক্তারের চিকিৎসাজনিত একটি ছুটির দরখাস্ত নিয়ে আমার বিদ্যালয়ে আসেন। এই দরখাস্তটি মঞ্জুরের জন্য আমি সুপারিশ করি। এ সময় তিনি স্ত্রীর ওই ৩ দিনের অনুপস্থিতির তারিখগুলোতে হাজিরা নেওয়ার জন্য আমাকে বলেন। এতে অস্বীকার করলে তিনি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সামনেই আমাকে গালাগালি ও শারিরিকভাবে লাঞ্চিত করেন। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা তাদের দায়িত্বে আজকে মিছিল করেছে।
এ ব্যাপারে শিক্ষক রিক্তা আক্তার বলেন, প্রধান শিক্ষক ও আমি একই গ্রামের। তিনি নানা কারণে দীর্ঘদিন আগে থেকেই আমার সাথে বৈরী আচরন করে আসছিলেন, ছুটি চাইলে দিতেন না। আমি অসুস্থ, এ জন্য বিদ্যালয়ে যেতে পারছি না। গত ৭ আগস্ট আমার ছেলেকে ছুটির দরখাস্ত দিয়ে পাঠিয়েছিলাম। আমার স্বামী কর্তৃক প্রধান শিক্ষককে লাঞ্চিতের অভিযোগ মিথ্যা।
অভিযুক্ত শিক্ষক মাসুদ করিম বলেন, আমি স্ত্রীর দরখাস্ত নিয়ে সেমিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাই নাই। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাঞ্চিত হওয়ার ব্যাপারে আমার কোন কিছু জানা নেই।
এলাকার ফকিরের বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই আনিছুর রহমান বলেন, আমরা মিছিল করতে দেখেছি। তবে, আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ দেয় নাই।
স্বত্ব © দৈনিক জনতার খবর ২০২৫ | ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।