প্রিন্ট এর তারিখঃ Aug 5, 2025 ইং || প্রকাশের তারিখঃ Jul 29, 2025 ইং
ডিজে গানে কান জ্বালাপোড়া ঝালকাঠির পেয়ারা রাজ্যে উচ্চ শব্দে বাদ্যযন্ত্র ও অশ্লীল নৃত্য বন্ধের দাবী

এস.এম. পারভেজ।।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার ভীমরুলী ভাসমান পেয়ারা হাট ও পেয়ারা রাজ্যের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা পর্যটকদের উচ্চ শব্দে বাদ্যযন্ত্র ও অশ্লীল নৃত্য বন্ধের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন মহল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন জনের পোস্ট ও কমেন্টে দাবিটি আরো তীব্র আকার ধারণ করেছে। ইতিমধ্যে স্বরূপকাঠি উপজেলা প্রশাসন নোটিশ জারী করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। ঠিক ঝালকাঠিতেও তেমন কঠোর নির্দেশনার দাবী সচেতন মহলের। পেয়ারার বাগানে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ৬দফা নির্দেশনা জারি করেছে স্বরূপকাঠি (নেছারাবাদ) উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম’র স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এতে আরো বেশি সচেতন হয়ে ওঠে ঝালকাঠির মানুষ। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের সাথে সংযুক্ত বিভিন্ন পোর্টাল, পেইজ এবং গ্রুপে শেয়ার, পোস্ট এবং কমেন্ট করে পেয়ারা রাজ্যের ঝালকাঠি অংশের জন্যও এমন একটি আদেশ জারীর দাবী করেছেন তারা। হিউম্যান রাইটস এন্ড পীচ ফর বাংলাদেশ ঝালকাঠি শাখার সভাপতি ও ঝালকাঠি আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আক্কাস সিকদারসহ পরিবেশ বিষয়ে সচেতন মহল জানান, ঝালকাঠি সদর উপজেলা এবং পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি নেছারাবাদ) উপজেলার সীমান্তবর্তি ৫৫টি গ্রাম জুড়ে পেয়ারা রাজ্য বিস্তৃত। এলাকাটি একটি প্রাকৃতিক ও পরিবেশ-সংবেদনশীল এলাকা হওয়ায় স্থানীয় জনগণের স্বাভাবিক কর্মপরিবেশ ও পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণের স্বার্থে নির্দিষ্ট কিছু নিয়মকানুন মেনে চলা উচিত। উচ্চ শব্দের কোনো ধরনের বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার না করা। উচ্চ শব্দ পরিবেশ দূষণ সৃষ্টি করে এবং স্থানীয় জনজীবন ও বন্যপ্রাণির জন্য ক্ষতিকর। পেয়ারা বাগানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব বয়সী পর্যটক আগমন করেন। তাই প্রত্যেককে অশ্লীলতা পরিহার করে অবশ্যই শালীনতা বজায় রাখা দায়িত্ব।
তারা আরো বলেন, বড় আকারের ট্রলার বা উচ্চ শব্দযুক্ত ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে বাগানে প্রবেশ করলে যানবাহন পানিপথে ভিড় ও শব্দ সৃষ্টি করে যা বাগানের পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ছোট নৌকা বা মাঝারি আকারের নৌযান ব্যবহার করলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা পায় এবং অন্যান্য পর্যটকরাও নিরাপদে ভ্রমণ উপভোগ করতে পারেন। পর্যটকদের সাথে নিয়ে আসা খাবারের উচ্ছিষ্টাংশ, পলিথিন, প্লাস্টিকসহ অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ পানিতে ফেললে পানি দূষিত হয়। এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা বিজ্ঞপ্তি আকারে জারী করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত রাখতে হবে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে পরিবেশ ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা পাবে বলেও আশাবাদী পরিবেশবাদীরা।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান জানান, এবিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে দেশবিদেশের হাজারো পর্যটক ভাসমান পেয়ারা বাজার দেখতে আসেন। নদীঘেরা এই বাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ফলের সমারোহ পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে পরিচিত।
স্বত্ব © দৈনিক জনতার খবর ২০২৫ | ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।