জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আগামীর রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমানের দিকনির্দেশনা চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কামরুল হুদা কামরুল ভাইয়ের হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষে , আমরা চৌদ্দগ্রাম বিএনপির সহযোগী সংগঠন গুলো বর্তমানে অনেক শক্তিশালী, আমি মনে করি জাতীয় নির্বাচনে তারেক রহমানের পচ্ছন্দের প্রার্থীকে বিজয় করার লক্ষ্যে বিএনপির সকল ইউনিট গুলো ইতিমধ্যে এখন থেকে কাক শুরু করেছে। কামরুল ভাইয়ের দিকনির্দেশনা আমরা যে ভাবে কাজ করে যাচ্ছি, যা অন্য দলের লোকেরা দিসে হারা হয়ে, বিএনপির কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাঁরা ইতিমধ্যে বুঝে গেছে তাদের কোনো ভোটার নেই জনগণ ও নেই,
জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করতে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে এবং তা পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন দলটির চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জাতীয়তাবাদী বিএনপির প্রবাসী ফোরাম সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রফ রিদয় হাসান তিনি উল্লেখ করে বলেন, একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, আজকে যে প্রচার হচ্ছে, অপপ্রচার হচ্ছে, এর পেছনে কিন্তু একেবারে সুনির্দিষ্ট চক্রান্ত রয়েছে। সেই চক্রান্ত হচ্ছে বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধবংস করে দেওয়া। সেই চক্রান্ত হচ্ছে, নেতা যিনি উঠে আসছে, যার একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সেই তারেক রহমান সাহেবকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া, তাকে খারাপ জায়গায় ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা। তিনি আরও বলেন আগামীর রাষ্ট্র নায়ক ‘তারেক রহমানের কাছে এই নেতৃত্বটা এসেছে অনেক দিক দিয়ে। পারিবারিক দিক দিয়ে যে কথাটা আপনারা অনেকে বলেছেন, যদিও এই কথাটা শুনতে আমার ভালো লাগে না। কারণ যিনি নেতা , আমার মনে হয় তাকে এতে কিছুটা খাটো করা হয়… ওনার যে নিজস্ব গুণ-সত্তাগুলো আছে সেটাকে পরিবারের সাথে সম্পৃক্ত করে আমরা বোধহয় সেটাকে ছোট করে দিই। তারেক রহমান সাহেবের নিজস্ব গুণ আছে.. যে গুণগুলোর জন্য তিনি আজকে এই পর্যন্ত এসেছেন… না হলে আসতে পারতেন না।’ তিনি আরও উল্লেখ করে বলেন । ‘বিএনপির যে একটা বিশাল যুব সমাজ আছে… ছাত্র, যুবক শক্তি আছে এটাকে সংগঠিত করতে হবে। বিএনপির রাজনীতিটা তাদের মাথার মধ্যে ঢোকানোর চেষ্টা করতে হবে… এটা আমাদেরকেই করতে হবে। এই কথাটা এজন্য বলছি যে, আমরা গত সময়গুলোতে শুধু লড়াই করেছি। কিন্তু সেই লড়াইটাকে সমৃদ্ধ করবার জন্য যে জ্ঞানটা সেটা কিন্তু আমরা অনেকে অর্জন করতে পারিনি। আজ তা না হলে যে কথাগুলো আমাদের শুনতে হচ্ছে সেই কথাগুলো হয়ত শুনতে হতো না আমাদের। ‘এই ফ্ল্যাগটা বহন করছেন দেখেই আজকে কিন্তু তারেক সাহেব, এই কথাটা আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে। উনি নির্যাতন সহ্য করেছেন, শারীরিক নির্যাতন সহ্য করেছেন ও নির্বাচিত হয়েছেন, একা থেকেছেন.. এই যে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া সব কিছু মিলিয়ে তারপরেও৷ আগামীর রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমান মাথা নত করেননি ওনার মায়ের মতোই। উনার মা যেমন মাথা নত করেননি, তারেক সাহেব ও মাতানত করেনি। গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পরেও বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সমালোচনা কারীরা পিছু ছাড়ছে না। শুরু থেকেই অন্যায়-অপরাধে জড়ানো নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হার্ডলাইনে থাকা দলটির নেতাদের রাজনীতির ভেতরে-বাইরে চরম বিরূপ পরিস্থিতির মুখে পড়তে হচ্ছে নেতাকর্মীদের । সবশেষ পুরান ঢাকায় নৃশংসভাবে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার ঘটনায় অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের জড়িত থাকার ঘটনায় সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর জন্য মাঠে নেমেছে। এই ঘটনায় যাদের নাম এসেছে তাদের সংগঠন থেকে আজীবন বহিষ্কারের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের বার্তা দিয়েছে বিএনপি। এরপরও জামায়াত সহ অন্যান্য দলগুলো পুরো দায় বিএনপির ওপর চাপাচ্ছে। এমনকি হত্যার প্রতিবাদে ডাকা কর্মসূচিতে বিএনপির সর্বোচ্চ নেতাদের বিরুদ্ধেও স্লোগান তোলা হচ্ছে। বিএনপিকে চাঁদাবাজ সংগঠন হিসেবে পরিচিতি করানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দল গুলো। সোহাগ হত্যাকাণ্ডের পর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হলেও একযোগে সব রাজনৈতিক দলের এমন বিরোধিতার পেছনে ষড়যন্ত্র দেখছে বিএনপি। বিশেষ করে এমন প্রতিবাদের পেছনে বিএনপিকে বিতর্কিত করা এবং আগামী নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা মনে করছেন বিএনপি নেতারা। উদ্ভুত পরিস্থিতি সামাল দিতে দলটিকে বেশ ধকল পোহাতে হচ্ছে। অন্যায়-অপকর্মে জড়ানো নেতাকর্মীদের ব্যাপারে আমাদের কোনো অনুকম্পা নেই। সরকারকে বলব, দ্রুত অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। দুঃখজনক বিষয় বারবার বলার পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর হতে এখনো দেখতে পায়নি সাধারণ জনগণ। নির্বাচন নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়ার পর থেকেই নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে দাবি করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতি দেখলে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে, নানাভাবে ষড়যন্ত্রের জাল বিছানো হচ্ছে। একেক সময় একেক ইস্যু নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। কিন্তু বিএনপি কারও ফাঁদে পা দেবে না।’ অপরাধীদের বিষয়ে দলের অবস্থানের কথা তুলে ধরে সাবেক এই বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ বলেন, ‘আনুষ্ঠানিভাবে বলা হয়েছে অপরাধীদের জায়গা বিএনপিতে হবে না। সেই অবস্থান তো বদল হয়নি। ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার ঘটনায় ছাত্রদল, যুবদল সংবাদ সম্মেলন করে স্পষ্ট বিবৃতি দিয়েছে। তারেক রহমান বিষয়টি শোনার সঙ্গে সঙ্গে যাদের নাম এসেছে সবাইকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।’ প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা চান বিশ্লেষকরা ও দেশের সাধারণ জনগণ।
এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে অপরাধে জড়ানো নেতাকর্মীদের লাগাম টানতে বিএনপিকে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। বিশেষ করে অপরাধীদের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছেন। পাশাপাশি একদল অন্য দলকে ঘায়েল করার যে চেষ্টা চলছে তা অব্যাহত রাখলে সার্বিক পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করছেন নেতাকর্মীরা। ‘বিএনপিকে অভিযোগের বিষয়গুলো আরও গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। শুধু যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে তাদের বহিষ্কার করেই কাজ শেষ করা যাবে না। এদের যারা প্রশ্রয় দেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। তাহলে শৃঙ্খলা ফিরতে পারে।’
‘বিএনপি সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলছে। এখন সরকারে যারা আছেন তাদের তৎপর হতে হবে। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে যিনি আছেন তিনি সহজসুলভ কথা বললেও শক্ত ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। এটা তো স্বীকার করতে হবে। আর এক ঘটনার পর যেভাবে সবাইকে বিএনপিকে ঘায়েল করার চেষ্টা করছেন এটাও অন্যায়।’ ,, অন্য দিকে স্থানীয় জনগন জানান আব্দুর রফ রিদয় হাসান যে ভাবে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছে তা আসলে প্রসংশা করলে ওনাকে ছোট করা হবে । উনি প্রবাসে থেকেও দলের জন্য যে ভাবে কাজ করে যাচ্ছে তা কোনো প্রবাসীকে এই ভাবে কাজ করতে দেখেনি। প্রবাস থেকে দেশে আসার পর ও নিজের প্যামেলীকে সময় না দিয়ে দেশ নায়ক তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ভোটারদের একতাবদ্ধ করে কাজ করে যাচ্ছে এই তরুণ যুবক আব্দুর রফ রিদয় হাসান।। আমরা বিশ্বাস করি ওনার কাজের মধ্যে দিয়ে উনি কাজের সফলতা অর্জন করতে পারবে ইনশাআল্লাহ।।।