এই সিরিজ দিয়েই বাংলাদেশের স্থায়ী ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে পথচলা শুরু হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের। কিন্তু শুরুটা প্রত্যাশা পূরণ হলো না।
কলম্বোয় প্রথম দুই ওয়ানডেতে ১–১ সমতার পর পাল্লেকেলেতে আজ শেষ ওয়ানডে রূপ নিয়েছিল অঘোষিত ফাইনালে। সিরিজ নির্ধারণী সেই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ৯৯ রানে হারল বাংলাদেশ।
তবু এই সিরিজ থেকে কি ইতিবাচক কিছু খুঁজে পাচ্ছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে আজ পুরস্কার বিতরণীতে মিরাজ বললেন, ‘আমাদের দল এখনো তরুণ, কিছু খেলোয়াড় নতুন এসেছে। অবশ্যই আমরা সবসময় ইতিবাচক জিনিসটা ভাবি। আমাদের সময় দরকার। যদি তাদের (নতুনদের) সুযোগ দেন, একদিন হয়তো তারা ভালো খেলবে।’
বাংলাদেশের ওয়ানডে দলে নতুন বলতে যদিও দুজন—পারভেজ হোসেন ও তানভীর ইসলামের অভিষেক হয়েছে এই সিরিজে। তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাস খেলছেন এক দশকের বেশি সময় ধরে। মিরাজেরও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার নয় বছরের কাছাকাছি। তবে কেউই সেভাবে ধারাবাহিক হতে পারেননি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও ধারাবাহিকতার অভাবে সিরিজ হারতে হলো বাংলাদেশকে। বিশেষ করে ব্যাটসম্যানদের দুর্দশা আজ আবারও স্পট ফুটে উঠেছে। কেন এই ব্যর্থতা? মিরাজের উত্তর, ‘আমাদের কিছু ভুল হয়েছে, মাঝের ওভারগুলোতে জুটি গড়তে পারেনি। শুরুতেও জুটি হয়নি। আমার মনে হয় এখানেই সমস্যা হয়েছে।’
লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ প্রথম ২০ ওভারে খুব একটা খারাপ করেনি। ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০২ রান করে ফেলেছিল। তবে এরপর ৮১ রানের মধ্যে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে।
মিরাজ জানালেন, জয়ের সম্ভাবনা দেখছিলেন তাঁরাও, ‘আমি ও তাওহিদ (হৃদয়) যেভাবে ব্যাট করছিলাম, আমরা আলোচনা করছিলাম আমাদের ইতিবাচক খেলতে হবে। যদি সুযোগ আসে, জয়ের দিকে যাব। শেষ ১০ ওভারে আমরা চেষ্টা করব। হ্যাঁ, কখনো কখনো এমন হতে পারে। কিন্তু আমরা চেষ্টা করেছি।’