ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেডিংলি টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন ভারতের চার ব্যাটসম্যান। যশপ্রীত বুমরা প্রথম ইনিংসে পেয়েছেন ৫ উইকেট। ব্যক্তিগত অর্জনের সেই ম্যাচে তবু ভারত ম্যাচ হেরেছে ৫ উইকেটের ব্যবধানে। চতুর্থ ইনিংসে ৩৭১ রান তাড়া করে জিতে গেছে ইংল্যান্ড। কেন এমন হার? এ নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ, চলছে পারফরম্যান্সের কাটাছেঁড়া।
ভারতের সাবেক ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া ভারতের একাদশের ময়নাতদন্ত শেষে একটি কারণ খুঁজে পেয়েছেন। প্রথম ইনিংসে ৪১ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়েছিল ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসেও ৩১ রানে তারা হারায় শেষ ৫ উইকেট।
টেলএন্ডার ব্যাটসম্যানরা দলটির সংগ্রহে বলতে গেলে কোনো অবদানই রাখতে পারেননি। আরেকটি বিষয়ও চোখে পড়েছে চোপড়ার, ভারতের এই দলটার ব্যাটসম্যানদের একদমই বোলিং না।
মুল্ডার টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান নন, তবে এ মাসেই হওয়া বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে তাঁকে তিনে ব্যাট করতে পাঠায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এই উদাহরণ টেনে ভারতীয় ক্রিকেটারদের পরামর্শ দিয়েছেন চোপড়া, ‘এমন কিছু কিন্তু করা দরকার হতে পারে। তবে বলছি না যে আপনাকে এমন কিছু করতে মনোযোগ দিতেই হবে। তবে যা–ই হোক না কেন, দলে ভারসাম্য আনতে ও বিকল্প নিশ্চিত করতে আপনাকে কিছু বোলিং করতে হতে পারে। কিন্তু এমন কিছু হচ্ছে না, কারণ আমাদের ব্যাটসম্যানরা বোলিং করে না।’
এটিকে ভারতের জন্য সমস্যা মনে করছেন ক্রিকেট বিশ্লেষক চোপড়া, ‘আমাদের টেলএন্ডার ব্যাট করতে পারে না আর টপ অর্ডার বল করে না। তাদের অন্তত অল্প হলেও বোলিং করা উচিত। আমি বলছি না ১৫ ওভার করতে হবে। বলছি না জ্যাক ক্যালিসের মতো খেলোয়াড় লাগবে, অথবা দক্ষিণ আফ্রিকার উইয়ান মুল্ডার হতে হবে (তিনে ব্যাট করেন) কিংবা এইডেন মার্করামের মতো অনেক ওভার বল করতে হবে।’
ভারতকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতানো কোচ গৌতম গম্ভীরকে নিয়েও কথা বলেছেন আকাশ। টেস্টে যাঁর অধীনে তেমন ভালো করতে পারছে না ভারত। গম্ভীর দায়িত্ব নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত ১১ ম্যাচ খেলে ৩টিতে জিতেছে ভারত।
এখন যে তাঁর সামনেও জয়ের বিকল্প নেই, তা–ও মনে করিয়ে দিয়েছেন আকাশ, ‘গৌতম গম্ভীরের ওপর অনেক চাপ। সেটি আরও বাড়ছে। কোচিং স্টাফরা যা চেয়েছেন, নির্বাচক প্যানেল থেকে সবকিছুই দেওয়া হয়েছে। যদি তা–ই হয়, তাহলে আপনাকে ফলও এনে দিতে হবে। এটাই শেষ কথা।’