আজ বৃহস্পতিবার , কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে অনুষ্ঠিত হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য হেল্প ডেক্স।
এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদল।
দিনব্যাপী চলা এই হেল্প ডেস্ক কার্যক্রমে প্রধানত পরীক্ষার্থীদের যেকোনো ধরনের সমস্যার সমাধান দেওয়া এবং তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণে সহজতা ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা ছিল মুল লক্ষ্য।
যে সকল বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সহায়তা দিয়েছে ছাত্রদলঃ
১. ট্রাফিক সহায়তা:
ছাত্রদল সদস্যরা পরীক্ষার্থীদের জন্য ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করেন, যাতে শিক্ষার্থীরা কোনো রকম যানজটে আটকে না পড়ে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেন।
২. সীট প্লান:
পরীক্ষার্থীদের সীট প্লান সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করা হয়, যাতে তারা দ্রুত এবং সঠিকভাবে তাদের পরীক্ষার আসন খুঁজে পেতে পারেন।
৩. মোবাইল ও দরকারী জিনিস আমানত:
পরীক্ষার সময় মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী রাখার জন্য নিরাপদ আমানত ব্যবস্থা রাখা হয়। এই ব্যবস্থা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, কারণ তারা জানে যে তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র সুরক্ষিত থাকবে।
৪. অন্যান্য সহযোগিতা:
এর পাশাপাশি বিভিন্ন ছোটখাটো সমস্যার সমাধানও প্রদান করা হয়, যেমন—পরীক্ষার্থীদের জন্য খাবার পানির ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা এবং পরীক্ষাকেন্দ্রের আশপাশে সাধারণ সহায়তা।
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, এ ধরনের কার্যক্রম শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় ধরনের সহায়তা নয়, বরং ছাত্রদলের মানবিক দায়িত্ববোধেরও পরিচায়ক। তারা আরও বলেন, ‘‘আমরা চাই আমাদের সংগঠন প্রতিটি শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়াক এবং তাদের পড়াশোনা ও পরীক্ষায় সফল হওয়ার পথে সহায়ক শক্তি হয়ে থাকুক।’’
কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রদল এবং সকল ইউনিটের সহায়তায় এই উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়ন হয়।
উপস্থিত ছিলেন,কুড়িগ্রাম জেলা ছাএদলের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক বিপুল রহমান,
যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সহ কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক, আসাদুজ্জামান আকাশ সদস্য সচিব- মিলন রহমান সহ সরকারি কলেজ শাখার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এই উদ্যোগের ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণে আরও আত্মবিশ্বাসী হন এবং অনেকেই হেল্প ডেস্কের কার্যক্রমকে প্রশংসা করেছেন। স্থানীয় প্রশাসনও এই সহায়তা কার্যক্রমের প্রশংসা করেছে এবং আশা প্রকাশ করেছে, ভবিষ্যতেও ছাত্রদল এমন মানবিক উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে।
শিক্ষার্থীরা মনে করছেন এটি কেবল একটি সহায়তা কার্যক্রম নয়, বরং ছাত্রদলের সামাজিক দায়বদ্ধতার একটি দৃশ্যমান উদাহরণ। শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে এই ধরনের কার্যক্রম তাদের এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা প্রদান করে এবং ছাত্রদলের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসকে আরও শক্তিশালী করবে।