পটুয়াখালীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতে চায়ের দোকানীকে গ্লাস ভেঙে মাথায় কোপ গুরুতর আহত হাসপাতালে ভর্তি। এ ঘটনায় পটুয়াখালী সদর থানায় আহতের ভাই হাসেম মৃধা বাদী হয়ে  মোঃ রাজু তালুকদার,মোঃ ইমরান,মোঃ শহিদুল ইসলাম,মোঃ মনির তালুকদার, মোঃ জাকির বিশ্বাস,সর্ব সাং খলিসাখালী, ওয়ার্ড নং-০৬. ইউপি-বদরপুর থানা-পটুয়াখালী সদর,ও মোঃ জামাল হাং, সাং জ্ঞানপাড়া, থানা-পাথরঘাট, জেলা-বরগুনা, এপি-হেতালিয় বাধঘাট, পটুয়াখালী সদর, থানা ও জেলা-পটুয়াখালী সহ অজ্ঞাতনামা ০৪/৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। 

মামলার বরাতে জানা যায় 

গত ১৬ই জুন রাতে অভিযুক্ত আসামীরা বাদীর ভাইয়ের চায়ের দোকানে রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে দুধ খেতে ডুকলে গ্লাস পরিস্কার নয় মর্মে দোকানীর সাথে তর্কে জরায়, এ সময় আসামীরা দোকানের গ্লাস ভেঙে বাদীর ভাইয়ের মাথায় সজোরে আঘাত করলে মাথা অনেকাংশে কেটে যায়। এ সময় আহত ব্যাক্তিকে স্থানীয়রা চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে রোগীর অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাকে বরিশায় শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। ঘটনা চক্রে আসামীরা প্রভাব খাটিয়ে সেখান থেকে রোগীর নাম কেটে দিলে রোগীর অবস্থা অপরিবর্তিত হলে তাকে পূণরায় পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীণ রয়েছে এবং এ মামলার ১ নং আসামী রাজুকে গ্রেফতার করতে স্বক্ষম হয়েছে পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশ, বাকী আসানীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মামলায় আরও উল্লেখ রয়েছে যে এ সময় আহত ব্যাক্তির দোকানের ক্যাসে থাকা নগদ ৫০,০০০/-টাকা নিয়া যায়। সকল বিবাদীরা ১নং স্বাক্ষীর দোকানের মালামাল পিটাইয়া ও রাস্তায় ফালাইয়া ভাংচুর ও নষ্ট করিয়া অনুমান ১,০০০০০/-টাকার ক্ষতি সাধন করে। এ সময় আহত ব্যাক্তির  ডাক চিৎকারে অন্যান্য স্বাক্ষীরা আগাইয়া আসিলে সকল আসামীরা আহত দোকানীকে খুন জখমের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করিয়া ঘটনা স্থল হইতে বীরদর্পে চলিয়া। তবে ১ নং আসামীকে গ্রেফতার করায় পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা, সেই সাথে যুক্ত সকল আসামীদের আইনের আওতায় এনে কঠিনতম শাস্তির দাবী জানান।