জামালপুর জেলার সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি বর্তমানে চরম অবহেলার শিকার। স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম একটি মূল কেন্দ্র হয়েও এটি আজ পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়। বছরের পর বছর সংস্কারহীন এই ভবন যেন নিজের অস্তিত্বই হারাতে বসেছে।
ভবনের দেওয়ালে বড় বড় ফাটল, ছাদের বড় বড় ফাটল ও ছাদের রট পযর্ন্ত গুলো দেখা যায় , রং উঠে যাওয়া ওজর্নিত পরিবেশের কারণে রোগীরা আতঙ্কে থাকেন।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি এখন রোগীদের ভরসা নয়, আতঙ্ক
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ হেলাল উদ্দিন জানান,
"এক সময় এইখানে মানুষ চিকিৎসা নিতে আসত। এখন শুধু তালা থাকে। চিকিৎসা নিতে হলে শহরে যেতে হয়। জরুরি সময়েও এখানে কাউকে পাওয়া যায় না।"
জরাজীর্ণ ভবন, অনুপস্থিত সেবা
পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে:
প্রসূতি ও শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি ।এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি মূলত গ্রামীণ নারীদের মাতৃত্বকালীন সেবা এবং শিশুদের টিকাদান, সাধারণ চিকিৎসা ইত্যাদির জন্য স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু এখন অধিকাংশ মা ও শিশুকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শহরে ছুটতে হয়।এলাকাবাসীর দাবির ভাষ্য:
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতি দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী:
গ্রামের মানুষের চিকিৎসার ভরসাস্থল এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি বর্তমানে নিজেই চিকিৎসার দরকারে পড়ে আছে। উন্নত স্বাস্থ্যসেবার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে এই কেন্দ্রটির অবস্থা উন্নত করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
“গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার শুরু হোক স্বাস্থ্যকেন্দ্র বাঁচানোর মধ্য দিয়ে।”