ভোলার মনপুরায় মেঘনায় মাছ শিকার করে ঘাটে এসে নৌকা নোঙ্গর করার পর পড়ে গিয়ে নিখোঁজের ২ ঘন্টা পর জেলের মরদেহ উদ্ধার করে নৌকার মাঝি মাল্লা সহ গ্রামবাসী। পরে পুলিশ এসে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে জেলের মরদেহ হস্তান্তর করে।
শুক্রবার বেলা ১২ টায় উপজেলার ৪ নং দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড এর আলমপুর সংলগ্ন মেঘনায় নিখোঁজ জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে আলমপুর এলাকায় সকাল সাড়ে ৮ টায় নোঙ্গর করা অবস্থায় নৌকার বাবুর্চি মহিউদ্দিন কে রেখে যায় নৌকার মাঝি মাল্লা'রা। সকাল ১০ টায় নৌকায় ছোট একজন ছেলে গিয়ে দেখেন নৌকাতে নেই ওই জেলে। এর পর শুরু হয় খোঁজা-খুঁজি।
নিহত জেলে মহিউদ্দিন উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত জয়নাল আবেদিনের ছেলে। তিনি ইসমাইল মাঝির নৌকার জেলে ও বাবুর্চির (রান্নার) দায়িত্বে ছিলেন।
নৌকার মাঝি ইসমাইল মাঝি বলেন, ১৯ জুন রোজ বৃহস্পতিবার রাতে মনপুরার পশ্চিমের মেঘনা নদীতে ১০ জন লোক নিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন ইসমাইল মাঝি। ২০ জুন শুক্রবার সকাল ৮:৩০ মিনিটে মাছ ধরা শেষ করে ৪ নং দক্ষিণ সাকুচিয়া ৫ নং ওয়ার্ড আলমনগর এসে নৌকা নোঙ্গর করি। মাছ বিক্রি করার জন্য সবাই চলে যাই। মহিউদ্দিন কে সবার সাথে আসার কথা বল্লে তিনি বলেন ভাত খেয়ে আসবেন। অতঃপর সকাল ১০ টায় ছোট একজন ছেলে নৌকায় গিয়ে মহিউদ্দিন কে না দেখতে পেয়ে মাঝিকে বলেন এর পর বিভিন্ন যায়গায় খোঁজ করতে থাকে সকলে। কোথায় ও না পেয়ে নদিতে খোঁজ করতে থাকে নৌকার লোকজন । নদীতে ২ ঘন্টা খোঁজার পর ১২ টার দিকে নৌকার কিছু দুরে মৃত অবস্থায় মহিউদ্দিন কে পাওয়া যায়।
এই ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান কবির জানান, আইনিপ্রক্রিয়া শেষে জেলের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। থানায় একটি ইউডি ( অপমৃত্যু) মামলা করা হয়েছে।